বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার গুঞ্জন, জবাব দিলেন সাবিলা

প্রকাশকালঃ ২২ মার্চ ২০২৩ ০১:০৭ অপরাহ্ণ ২৯৬ বার পঠিত
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার গুঞ্জন, জবাব দিলেন সাবিলা

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এআইইউবি) থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। ইংরেজি সাহিত্যে সিজিপিএ ৪ এর মধ্যে ৩ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট নিয়ে পড়ালেখা শেষ করেছেন তিনি। গত ১৯ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম সমাবর্তনে তাকে ‘ড. আনোয়ারুল আবেদিন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। সম্মাননা স্মারকটি তাকে পরিয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

এমন রেজাল্টের পর কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, অভিনয় করে কীভাবে এত পয়েন্ট পাওয়া সম্ভব? যাকে কিনা নর্থ সাউথ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল। এবার নিন্দুকদের সেসব প্রশ্নের সরাসরি জবাব দিয়েছেন এ অভিনেত্রী।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্ট করেন সাবিলা। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘যারা বলছেন আমাকে এনএসইউ এবং ব্র্যাক থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল, তাদের জন্য এই পোস্ট। আমার এআইইউবি এবং ব্র্যাক দুটোর গ্রেডশিট আমি পোস্টে দিয়েছি, আশা করি এই প্রশ্নের জবাব আপনারা পেয়ে যাবেন।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, এনএসইউ তে আমার গ্রেড ভাল ছিল না, কিন্তু আমাকে বের করে দেয়া হয়েছিল সেটা ভুল। তখন আমি মাত্রই নাটকে কাজ শুরু করি এবং আমি পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে গিয়েছিলাম। এছাড়া আমি এমন একটা ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়েছিলাম যেখানে আমার পড়ার আগ্রহ ছিল না, পরিবারের চাপে ভর্তি হওয়া। আমি কিছু সময়ের জন্য আমেরিকা চলে যাই, এবং ফিরে এসে আমার মেজর এবং ইউনিভার্সিটি দুটোই পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নেই।’

এই অভিনেত্রী জানান, ‘ব্র্যাকে আমি তিন সেমিস্টার ছিলাম এবং বহুল আকাঙ্ক্ষিত ভিসি তালিকাভুক্ত ছাত্রীও ছিলাম, কিন্তু যখন আমাকে বলা হল টার্কে যেতেই হবে, আমি পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ি। শুধু মিডিয়ার কাজের জন্য নয়, আমি তখন ডিপ্রেশনে ভুগছিলাম এবং আমি জানতাম পরিবার ছাড়া তিন মাস থাকা আমার পক্ষে সম্ভব হত না। তারপরই আমি এআইইউবিতে ক্রেডিট ট্রান্সফার করি এবং আমার জন্য সেটাই সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। এই পথ চলায় আমার যত বাধা এসেছে, ততই আমার জিদ চেপে গিয়েছিল পড়াশোনার। সকালের ক্লাসগুলো করে আমি নাটকের কাজে যেতাম, অনেক রাতে বাড়ি ফিরে পড়াশোনা করতাম, দুই-এক ঘণ্টা ঘুমিয়ে আবার ক্লাস করতাম। আমার সিজিপিএ আমার হার না মানা পরিশ্রম-সংকল্প আর আমার পরিবার ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণার ফসল। যেটা ছিল আমার পরম আরাধ্য কিছুর উদযাপন, আপনাদের ট্রোল-মিম-এবং ভয়ানক মিথ্যা কিছু অভিযোগে সেটা হয়ে যাচ্ছে দুঃস্বপ্নের মত। ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজের পিছনে যে একজন সত্যিকারের রক্তমাংসের মানুষ আছে সেটা ভুলে যাননি তো? এআইইউবির অথোরিটিকে পর্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে! কি ভয়াবহ!’

সাবিলার ভাষায়, ‘মানুষ কি নতুন করে শুরু করে সফল হতে পারে না? বদলাতে পারে না? নিজের লক্ষ্য অর্জনে নিজের সবটা দিয়ে উঠেপড়ে লেগে পড়তে পারে না? আমরা কি এতটাই অসহনশীল হয়ে পড়েছি যে কোনো রকম কারণ ছাড়াই একজনের ভীষণ পরিশ্রমের একটা ভাল খবরকে দুঃস্বপ্ন বানিয়ে দিতে একটুও দ্বিধা করছি না?’