জলবায়ু পরিবর্তন খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেলেও, সুন্দরবন রক্ষার জন্য সরকারের বাজেটে কোন স্পষ্ট ঘোষণা দেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদীরা এবং বিশেষজ্ঞরা।তাদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তন সুন্দরবনের জন্য একটি বড় হুমকি, এবং বনটিকে রক্ষা করার জন্য আরও বেশি অর্থের প্রয়োজন। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি এবং ঘন ঘন ঝড়ের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ইতিমধ্যেই বনের উপর প্রভাব ফেলছে।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন যে তারা সুন্দরবন রক্ষার জন্য তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছে, তবে তাদের আরও বেশি সম্পদের প্রয়োজন। তারা বলেছেন যে তারা উপকূলীয় বনভূমি বৃদ্ধি, লবণ সহনশীল গাছ লাগানো এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য জীবিকা নির্বাহের বিকল্প সরবরাহের মতো প্রকল্পগুলিতে কাজ করছে।
রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন গুহ জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায়, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ মিলেছে ১১ হাজার ৮৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, যা মোট এডিপির ৪ দশমিক এক আট শতাংশ। তবে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল ও সুন্দরবন রক্ষায় কীভাবে ও কী পরিমাণ বরাদ্দ হবে তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি বাজেটে। বাজেটে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকলে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল ও সুন্দরবন রক্ষায় উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
সুন্দরবন একাডেমি পরিচালক রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, এবারের বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তন খাতে বরাদ্দ বাড়লেও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল ও সুন্দরবন রক্ষায় নেই স্পষ্ট কোনো ঘোষণা। কিন্তু সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গবেষণা, সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, অবকাঠামো, জনবল উন্নয়নে বোর্ড গঠন করা যেতে পারে।
রিমালের আগে ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, বুলবুল, ইয়াসে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলকে রক্ষা করে সুন্দরবন