মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) একটি টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘ফকিন্নির বাচ্চা’ শব্দবন্ধ কোনো ব্যক্তির আর্থিক অবস্থার প্রতি ইঙ্গিত নয়, বরং এটি একধরনের মানসিকতা বা চিন্তাভাবনার প্রতিফলন। তার ভাষায়, “ফকিন্নির বাচ্চা বিষয়টা আসলে একটা মাইন্ডসেট। এর মানে গরিব হওয়া নয়, বরং চিন্তাধারায় নীচু মানসিকতা কাজ করা।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব হুমায়রা নূর ও হাসনাত আব্দুল্লাহসহ কিছু নেতা যেভাবে রাজনীতি করছেন, তা অত্যন্ত নিম্নমানের। এ বিষয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, “আমার আওয়ামী লীগের সম্পাদক হওয়ার প্রসঙ্গে ওরা যে ভাষায় কথা বলেছে, সেটার প্রতিক্রিয়াতেই আমি মন্তব্য করেছি।”
বিএনপির এই নেত্রী দাবি করেন, এনসিপি নেতাদের কথাবার্তা অনেকটা ‘স্লাম এলাকার ভাষা’র মতো। তার বক্তব্যে উঠে আসে— “কেউ এদের ফকিন্নি বলে, কেউ বস্তির ভাষা বলে, কেউ কাচড়া বলে—সেটা তাদের আচরণেই প্রকাশ পায়। তারা যেভাবে স্লোগান দেয়, প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করে কিংবা ফ্রেম করে, সবই বস্তির ভাষার সঙ্গে মিলে যায়। আমি যখন বলেছি ‘ফকিন্নির বাচ্চা’, তখন নিচে শেয়ার করা ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যাবে, কাকে উদ্দেশ করে বলা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, গত রোববার (২৪ আগস্ট) এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক বক্তব্যে রুমিন ফারহানাকে ‘বিএনপির আওয়ামী লীগবিষয়ক সম্পাদক’ বলে অভিহিত করেন। এর জবাবে পরদিন (২৫ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কড়া প্রতিক্রিয়া জানান রুমিন ফারহানা।