গ্রেপ্তারের পর রিয়াদকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর নাখালপাড়ায় অবস্থিত তার বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ এবং সেখান থেকেই চেকটি উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তিনি বলেন, গুলশানে চাঁদাবাজির মামলার তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী চেকটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় নতুন আরেকটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে, গত ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় গুলশান ৮৩ নম্বর রোডের একটি বাড়িতে চাঁদা আদায়ের সময় পাঁচজনকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। তারা ১০ লাখ টাকা আদায়ের পর আরও ৪০ লাখ টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন—
আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ (২৫), সেনবাগ, নোয়াখালী (বর্তমানে ধানমন্ডি নিউ মডেল এলাকায় বসবাস)
ইব্রাহিম হোসেন (২৪), রামদাসদী, চাঁদপুর
সাকাদাউন সিয়াম (২২)
সাদমান সাদাব (২১), নাটোরের লালপুর
আমিনুল ইসলাম (১৩), দশম শ্রেণির ছাত্র, বাড্ডার আলাতুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজ
ইব্রাহিম হোসেন মুন্না সংগঠনটির ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ছিলেন। সিয়াম ও সাদাব ছিলেন সদস্য। ঘটনার পর রাতে কেন্দ্রীয় কমিটি তিনজনকে বহিষ্কার করে এবং সারাদেশে সংগঠনের সব শাখা কমিটি স্থগিত ঘোষণা করে।
২৭ জুলাই গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান চারজনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকার মহানগর হাকিম আদালত তাদের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে যাওয়া চারজন হলেন—
আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ
ইব্রাহিম হোসেন
সাকাদাউন সিয়াম
সাদমান সাদাব
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৭ জুলাই সকাল ১০টায় রিয়াদ ও অপু নামের আরেক ব্যক্তি গুলশান ৮৩ নম্বর রোডের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা এবং স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। টাকা না দিলে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ বলে পুলিশের মাধ্যমে গ্রেপ্তারের হুমকি দেন।
একপর্যায়ে বাসার ভাড়াটিয়া সিদ্দিক আবু জাফর বাধ্য হয়ে নিজের কাছ থেকে ৫ লাখ এবং ভাইয়ের কাছ থেকে আরও ৫ লাখ টাকা তুলে দেন। এরপর ১৯ জুলাই রাত ১০টার দিকে রিয়াদ ও অপু আবার বাসায় গিয়ে দরজায় ধাক্কা দেন। থানায় খবর দিলে তারা পালিয়ে যান।
২৬ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে রিয়াদসহ অন্য আসামিরা ফের ওই বাসায় গিয়ে অবশিষ্ট ৪০ লাখ টাকা দাবি করেন। দারোয়ান বিষয়টি ভাড়াটিয়াকে জানালে তিনি আবার পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করলেও অপু পালিয়ে যান।