এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কেএসআরএম দেশের প্রথম শিল্পগ্রুপ হিসেবে তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পেনশন স্কিম প্রদান শুরু করেছে।
পেনশন স্কিমের আওতায় কেএসআরএমের হাজারো কর্মকর্তা-কর্মচারী ইস্পাত প্রস্তুতকারী শিল্পগ্রুপ কেএসআরএমের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখন জাতীয় পেনশন স্কিমের আওতায়। শনিবার (২৫ মে) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসন ও কেএসআরএমের যৌথ উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর মাধ্যমে কেএসআরএমই দেশের প্রথম শিল্পগ্রুপ হিসেবে তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন স্কিমের আওতায় নিয়ে এসেছে। সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কেএম রফিকুল ইসলামের প্রস্তাবে সম্মত হয়ে কেএসআরএমের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত এ উদ্যোগ নিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে সীতাকুণ্ড কেএসআরএম স্টিল প্ল্যান্টের প্রায় এক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী জাতীয় পেনশন স্কিমের আওতায় এসেছেন। অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পর্যায়ক্রমে এ কার্যক্রমের আওতায় আসবে। কোম্পানির কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির (সিএসআর) অংশ হিসেবে কর্মকর্তা-কর্মকারীদের জাতীয় পেনশন স্কিমের প্রথম কিস্তির টাকা পরিশোধ করবে কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ।
কেএসআরএম স্টিল প্ল্যান্টে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন ইউএনও কেএম রফিকুল ইসলাম, কেএসআরএমের পরিচালক (প্ল্যান্ট) কমডোর (অব.) এমএস করিব, উপ-মহাব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ ও প্রশাসন) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ও মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম। এছাড়াও কেএসআরএমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ইউএনও কেএম রফিকুল ইসলাম বলেন, কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পেনশন স্কিম চালু করতে যে আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছে তা সারাদেশে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এতে করে প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের পথ সুগম হলো। পাশাপাশি দেশের প্রথম শিল্পগ্রুপ হিসেবে কেএসআরএমে কর্মরতরা সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় এসেছে। আমরা আশা করছি ভবিষ্যতেও সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসন এবং কেএসআরএম জনহিতকর যেকোনো কাজ এক সঙ্গে করবে।
এ প্রসঙ্গে কেএসআরএমের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, আমরা সরকারের যেকোনো জনবান্ধব কর্মকাণ্ডে সহযোগী হিসেবে কাজ করে থাকি। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জাতীয় পেনশন স্কিম সরকারের জনহিতকর কাজের মধ্যে অন্যতম। তাই প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে শিল্পগ্রুপ হিসেবে কেএসআরএম সেই অগ্রযাত্রার সারথি হয়েছে। আগামীতেও এমন সব কাজের অংশীদার হবে কেএসআরএম।