ঢাকা প্রেস
রুজ আলী,নাটোর প্রতিনিধি:-
নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাক থামিয়ে একজনকে মারধর করে চারটি গরু ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের মাঝগাঁও ইউপি কার্যালয়ের এলাকায় ছিনতাই ঘটনা ঘটে। কোরবানি উপলক্ষে বিক্রির জন্য গরুগুলো ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ট্রাকের চালক ও চালকের সহকারীকে আটক করেছে পুলিশ। বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক শাফিউল আযম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গরু নিয়ে ঢাকা যাওয়ার ব্যক্তির নাম দবির উদ্দিন (৫৬)। তিনি পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলা সারিকাজী গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। আটক ট্রাকচালক পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলা মধুরাপুর গ্রামের আব্দুল আলীম (৩২) এবং চালকের সহকারী আনকুটিয়া গ্রামের স্বাধীন হোসেন (২০)। আহত দবির উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলার রাজাপুর বাজারের শাজাহান কবির সাজুর চারটি গরু কোরবানি উপলক্ষে বিক্রির জন্য ট্রাকে করে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলাম।
বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের মাঝগাঁও ইউপি কার্যালয়ের সামনে যাওয়ার পর উল্টো পাশ থেকে একটি ট্রাক আসে। তখন আমাদের ট্রাক নিচের রাস্তায় নামিয়ে দেয়। ওই ট্রাকের লোকেরা আমাদের ট্রাক থেকে গরু ওই ট্রাকে তুলতে থাকে। আমি বাধা দিলে আমার চোখেমুখে শুকনা মরিচের গুঁড়া দিয়ে মারধর করে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিস্তল ধরে রাখে। পরে ট্রাক নিয়ে চলে গেলে আমি মুখ দিয়ে হাতের বাঁধন খুলে পাশের বাড়িতে যাই। তারাই পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। দবির উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমার ট্রাক থামিয়ে চালক ও চালকের সহকারী দূরে চলে যায়। আমার ধারণা, এ ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত আছে।’ গরুর মালিক শাজাহান কবির সাজু বলেন, ‘কোরবানি উপলক্ষে চারটি গরু ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে কিনে ট্রাকে করে দবির উদ্দিনের মাধ্যমে শনিবার রাতে ঢাকায় বিক্রি করার জন্য পাঠিয়েছিলাম।
আমার ধারণা, ট্রাকের চালক ও তাঁর সহকারীকে ভালো করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আমার গরু উদ্ধার করা যাবে। কোরবানি উপলক্ষে লাভের আশার আমরা ঢাকায় গরু নিয়ে যাই। এভাবে যদি গরু ডাকাতি হয়, আমরা পথে বসে যাব। আমরা রাস্তায় নিরাপত্তা চাই। বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক শাফিউল আযম খান বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত গরুগুলি গরুগুলি উদ্ধার করতে সক্ষম হবে।