নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবির জন্য জি এম কাদের-চুন্নু’র পদত্যাগ চাইলেন পরাজিত প্রার্থীরা

প্রকাশকালঃ ১০ জানুয়ারি ২০২৪ ০৪:৫৮ অপরাহ্ণ ২৫২ বার পঠিত
নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবির জন্য জি এম কাদের-চুন্নু’র পদত্যাগ চাইলেন পরাজিত প্রার্থীরা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবির জন্য দলটির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে দায়ী করে বিক্ষোভ ও পদত্যাগ দাবি করেছেন দলের শীর্ষ ও তৃণমূল নেতারা।

নির্বাচনে দলের শোচনীয় অবস্থার জন্য পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে দায়ী করে তাদের পদত্যাগও দাবি করেছেন নেতাকর্মীরা।

বুধবার বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়। এ সময় আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের পদত্যাগে বাধ্য করার কথাও বলা হয়।

জাতীয় নির্বাচন থেকে সরে আসতে বাধ্য হওয়া প্রার্থীদের পক্ষে জাতীয় পার্টি অতিরিক্ত মহাসচিব সাহিদুর রহমান টেপা লিখিত বক্তব্যে বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চরম ভরাডুবি হয়েছে। পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের গত চার বছরে তার সাংগঠনিক দুর্বলতা ও রাজনৈতিক অদূরদর্শিতার কারণে জাতীয় পার্টিকে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে গেছেন। তারই প্রতিফলন ঘটেছে এই নির্বাচনে। পার্টির প্রার্থীদের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা, প্রতারণা করা এবং তাদের একপ্রকার পথে বসিয়ে দেওয়ার জন্য পার্টির দুই শতাধিক প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন।

তিনি আরও বলেন, সরকারের কাছে ধরনা দিয়ে ২৬টি আসনে সমঝোতা করে সেখানেও ভরাডুবি হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম, জাতীয় পার্টিকে এতটা বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দেওয়া এবং নির্বাচনে ভরাডুবির দায়িত্ব নিয়ে পার্টির চেয়ারম্যান এবং মহাসচিব পদত্যাগ করে তাদের সম্মান রক্ষা করবেন। কিন্তু সে বোধোদয়ও তাদের হয়নি। আমরা পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মনোভাব জানতে পেরেছি। তারা পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে তাদের পদ থেকে অপসারণ দেখতে চান।

নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে নাটকীয়তা, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগ নিয়ে দেনদরবার করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ২৬টি আসনে ছাড় পেয়েছিলো জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জাপা)। কিন্তু জিততে পেরেছে মাত্র ১১টিতে।

নির্বাচিতরা হলেন- দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের (রংপুর-৩), মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু (কিশোরগঞ্চ-৩), কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৫), এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার (পটুয়াখালী-১), প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (ফেনী-৩), হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (ঠাকুরগাঁও-৩), গোলাম কিবরিয়া (বরিশাল-৩), এ কে এম সেলিম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৫), মো. আশরাফুজ্জামান (সাতক্ষীরা-২), এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান (কুড়িগ্রাম-১) ও শরিফুল ইসলাম (বগুড়া-২) । এদের মধ্যে রুহুল আমিন হাওলাদার ও আশরাফুজ্জামান ছাড়া বাকিরা বর্তমান সংসদের সংসদ সদস্য হিসেবে আছেন।

একাদশ সংসদে দলটির ২৩ জন সংসদ সদস্য ছিলেন। আর সংরক্ষিত নারী আসনে ছিলেন চারজন।

বুধবার সংসদ ভবনে নতিুন নির্বাচিত ১১ জন শপথ নেন। যদিও মঙ্গলবার এ নিয়েও নাটকীয়তার জন্ম দেয় দলটি। একবার বলেছিলো তারা বুধবার শপথ নেবেন না। পরে আবার সিদ্ধান্ত বদলায় দলটি।

শপথ নেওয়া পর দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরর কাছে পার্টি অফিসে নেতৃত্বের ব্যর্থতা নিয়ে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা