ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর অনুবিভাগ কর্তৃক কুড়িগ্রাম জেলার জন্য পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এবং গভর্মেন্ট প্লিডার (জিপি) নিয়োগ বাতিলের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে আইনজীবী মহল। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, কুড়িগ্রামের সভাপতি, সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “যারা পিপি-জিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তারা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী দলের কোনো পদ-পদবিতে ছিলেন না। ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামেও যুক্ত ছিলেন না। বরং তারা বিশেষ উপায়ে পারিবারিককরণের মাধ্যমে এসব পদ-পদবি বাগিয়ে নিয়েছেন। আমরা এই পিপি-জিপি নিয়োগ বাতিল চাই। অন্যথায় তাদের যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, ১৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সকালে আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ (জিপি-পিপি শাখা) থেকে কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আওতাধীন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের জন্য একটি পত্র ইস্যু করা হয়।
উপ-সলিসিটর সানা মোঃ মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত এ পত্রে মোঃ বজলুর রশিদকে পাবলিক প্রসিকিউটর, মিজানুর রহমান সরকারকে পাবলিক প্রসিকিউটর (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল), মোঃ তারিকুর রহমানসহ ৯ জনকে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এবং মোঃ আসাদুল হককে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পাশাপাশি জিপি হিসেবে আবুল কাশেম ও অতিরিক্ত জিপি হিসেবে মোঃ আলতাফ হোসাইনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আইনজীবী সমিতির ভবনে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এবং সাধারণ আইনজীবীরা নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। তারা জানান, প্রহসনমূলক এই নিয়োগ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাতিল না করা হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মন্ডল, আশরাফ আলী, সফিকুল ইসলাম, ফারুক হোসেন সেতু, শাহিন সরকার, আলী আহমেদ শাহ্ প্রমুখ।