মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণসহ আসন্ন ঈদের আগেই শতভাগ উৎসব ভাতা, পূর্ণাঙ্গ বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান এবং অন্যান্য সমস্যার দ্রুত সমাধানের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি। দাবি পূরণে সুনির্দিষ্ট প্রজ্ঞাপন জারি করা না হলে ঈদের পর সারাদেশে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মাত্র ১,০০০ টাকা বাড়ি ভাড়া, ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই পাঠ্যক্রমে পাঠদান করেও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য রয়ে গেছে। এছাড়া, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের তুলনায় এক ধাপ নিচে রাখা হয়েছে এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল না দেওয়ায় দীর্ঘদিনের অসন্তোষ বিরাজ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে দাবির সমর্থনে বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়—
🔹 ১২ মার্চ সকাল ১১টা: জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান।
🔹 ১৬ মার্চ সকাল ১১টা: জেলা ও বিভাগীয় শহরে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল এবং জেলা প্রশাসক বা বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান।
🔹 এরপরও দাবি আদায়ে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ঈদের পর সারাদেশে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম আল মামুন এর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন উপদেষ্টা আলী আহমেদ, হাজী আবুল কাশেম, সহসভাপতি গোলাম রব্বানী, মীর মনিরুজ্জামান ও রণজিৎ কুমার নাথ।
শিক্ষক নেতারা দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।