ঢাকা প্রেস নিউজ (বার্তা কক্ষ):-
কুমিল্লায় গত কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বন্যার তীব্রতা অনেকটা কমে এসেছে। গোমতী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কমে এসেছে এবং বুরবুড়িয়ায় বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি বের হওয়ার পরিমাণও কমেছে। ফলে বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলাসহ কুমিল্লা জেলার দক্ষিণাঞ্চলের লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় বন্যার পানি কমেছে এবং পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হয়েছে।
যদিও বন্যার তীব্রতা কমেছে, তবে এর ক্ষতচিহ্ন স্পষ্ট। অনেক সড়ক ভেসে গেছে এবং বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ১০ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। তাদের সহায়তার জন্য ৭ শ’ ২৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে যেখানে ৭৮ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
এই দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন ৩৯ লাখ টাকা এবং ৮০০ টন চাল বরাদ্দ করেছে। এছাড়াও, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় কুমিল্লায় ১৬ শ’ টন চাল এবং ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও শিক্ষার্থীরাও দুর্গতদের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছে।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২২৫টি মেডিকেল টিম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে।
কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হলেও, বন্যার ফলে সৃষ্ট ক্ষতির পরিমাণ উদ্বেগজনক। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন এবং পুনরুদ্ধার কাজে সরকার ও বিভিন্ন সংস্থার সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।