রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতদিন স্বাভাবিক থাকলেও সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনার কারণে সেটি সামান্য খারাপের দিকে গেছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে।”
রাজবাড়ীর অস্থিরতা প্রসঙ্গে তিনি জানান, ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে। এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পুরো ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, “তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।”
ডিসি ও এসপির উপস্থিতিতে নিরপেক্ষ তদন্ত সম্ভব হবে কিনা—এমন প্রশ্নে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “তদন্তের আগে কাউকে দোষী বা নির্দোষ বলা যাবে না। তদন্তের মাধ্যমে যদি কারও অবহেলা প্রমাণিত হয়, অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর কেউ নির্দোষ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।”
সম্প্রতি রাজবাড়ী ও হাটহাজারীতে ঘটে যাওয়া সহিংসতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা ব্যর্থ হইনি। যারা এসব ঘটিয়েছে, তারা আইনের আওতায় আসবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া হুমকির বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সবাইকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ করছি।”
এ অবস্থায় নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ ব্যাহত হবে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “জনগণ যখন ভোটমুখী হবে, তখন তাদের কেউ বাধা দিতে পারবে না। জনগণ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।”