বিএনপির নেতা এ্যানিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

প্রকাশকালঃ ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ ২০২ বার পঠিত
বিএনপির নেতা এ্যানিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

ক্ষ্মীপুরে পুলিশের দুই মামলায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। একই মামলায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমানসহ ৯ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ নির্দেশ দেন।

গ্রেপ্তারকৃতদের কারাগারে নেওয়ার সময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতার্মীরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় উত্তেজিতরা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন। নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গ্রেপ্তারকারীদের কারাগারে নেয় পুলিশ। লক্ষ্মীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুই মামলায় ৯ জনকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন।


একই মামলায় আদালতে অনুপস্থিত থাকায় শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও সদস্যসচিব সাহাব উদ্দিন সাবুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আসামিপক্ষের আইনজীবী ও লক্ষ্মীপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি আহমেদ ফেরদৌস মানিক বলেন, আমাদের তিনজন নেতা অসুস্থ। আমরা তাদের জন্য সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু আদালতে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

এটি ফরমায়েশি আদেশ ছিল। বিচারকদের বাধ্য করে এসব আদেশ দেওয়ানো হয়। দেশে আইনের শাসন নেই বলেই এমন ঘটনা ঘটছে। গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন- জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম, সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম রাজন, নাদিম মাহমুদ জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, লক্ষ্মীপুর পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল বারাকাত সৌরভ বুলেট ও সদর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক বায়েজীদ ভূঁইয়াসহ ৯ জন। 

প্রসঙ্গত, ১৮ জুলাই লক্ষ্মীপুরে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ও সজিব হত্যার ঘটনায় সদর মডেল থানায় ১৯ জুলাই রাতে চারটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।


সজিবের মেজো ভাই মো. সুজন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মজুপুর এলাকায় কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম নুরুল আমিন রাজুর বাসভবন ও ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি নিজেই ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া দায়িত্ব পালন কাজে বাধাসহ পুলিশকে আহত করার ঘটনায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে, 

২৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। বিস্ফোরক ও নাশকতার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান বাদী হয়ে আরো একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলাতেও বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ২৭ জুলাই উচ্চ আদালত পুলিশের দুই মামলায় এ্যানিসহ ১২ জনকে জামিন দেন।