প্রকাশকালঃ
০৬ অক্টোবর ২০২৪ ১২:৫৩ অপরাহ্ণ ৩২৬ বার পঠিত
পবিত্রতা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম অজু। শারীরিক পবিত্রতার ক্ষেত্রে গোসলের পরেই অজুর অবস্থান। আর পবিত্রতা অর্জনকারীদের খোদ মহান রাব্বুল আলামিন ভালোবাসেন (সুরা তাওবা, আয়াত: ১০৮)।
অন্যদিকে ঘুম মহান আল্লাহ তা’য়ালার অশেষ নেয়ামতগুলোর মধ্যে একটি। এর মধ্যদিয়ে দিনের সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। পবিত্র কুরআনে মহান রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন, ‘আর আমি তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী। রাত্রিকে করেছি আবরণ’ (সুরা নাবা, আয়াত: ৯-১০)।
বিভিন্ন সময়ে বর্ণিত হাদিসে অজুর বিশেষ ফজিলতের কথা এসেছে। আবু হুরায়রা (রা.) আনহু বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যখন কোনো মুসলিম অথবা মুমিন বান্দা অজু করে আর সে তার মুখ ধৌত করে, তখন অজুর পানি অথবা অজুর পানির শেষ ফোটার সঙ্গে সঙ্গে তার চেহারা থেকে সব গুনাহ বের হয়ে যায়।
যা সে তার দু’চোখ দিয়ে দেখেছিল। আর যখন সে তার দু’হাত ধৌত করে তখন অজুর পানি বা অজুর পানির শেষ ফোটার সঙ্গে সঙ্গে তার উভয় হাত থেকে সকল গুনাহ বের হয়ে যায়, যা সে হাত দিয়ে ধরেছিল, এমনকি শেষ পর্যন্ত সে তার গুনাহ থেকে পাক হয়ে যায়। (তিরমিজী, হাদিস: ২, সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৪৭০)
এ ক্ষেত্রে নামাজের জন্য অজু ফরজ। কাবা শরিফ তওয়াফের জন্য অজু করা ওয়াজিব। আর গোসল কিংবা ঘুমানোর আগে অজু করা মুস্তাহাব। হাদিসে এসেছে, বারা ইবনু আযিব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন তুমি বিছানায় যাবে তখন নামাজের অজুর মতো অজু করে নেবে। তারপর ডান পাশে শুয়ে বলবে-
অর্থ: ‘হে আল্লাহ্! আমার জীবন আপনার কাছে সমর্পণ করলাম। আমার সকল কাজ আপনার কাছে সোপর্দ করলাম এবং আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করলাম, আপনার প্রতি আগ্রহ ও ভয় নিয়ে। আপনি ছাড়া কোনো আশ্রয়স্থল ও নাজাতের স্থান নেই। হে আল্লাহ্! আমি ঈমান আনলাম আপনার নাযিলকৃত কিতাবের ওপর এবং আপনার প্রেরিত নবীর ওপর।’
হাদিস বর্ণনাকারী বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, এ দোয়া পড়ার পর যদি সে রাতেই কারও মৃত্যু হয়, তবে ফিতরাতে ইসলামের (স্বভাবধর্ম ইসলামের ওপর) ওপর তার মৃত্যু হবে। এ কথাগুলো তোমার শেষ কথা বনিয়ে নাও। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৪৫)