৩ মাসের জন্য ডলারের অগ্রিম বুকিং দেওয়া যাবে

প্রকাশকালঃ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০১:১৬ অপরাহ্ণ ২১৩ বার পঠিত
৩ মাসের জন্য ডলারের অগ্রিম বুকিং দেওয়া যাবে

দেশের আমদানিকারকেরা সর্বোচ্চ ৩ মাসের জন্য ডলারের অগ্রিম বুকিং দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তিন মাসের জন্য ডলারের ভবিষ্যৎ দাম নির্ধারণ করবে ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংক আজ মঙ্গলবার এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে। ডলারের বর্তমান দাম ১১০ টাকা ৫০ পয়সা হিসাবে তিন মাসের জন্য বুকিংয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম পড়বে ১১৩ টাকা ৮৫ পয়সা। আর কোনো আমদানিকারক যদি তিন মাসের কম সময়ের জন্য ডলার বুকিং দেন, সে ক্ষেত্রে আনুপাতিক হারে ডলারের দাম নির্ধারণ হবে।

এর আগে গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের ভবিষ্যৎ দাম (ফরওয়ার্ড রেট) নির্ধারণে নতুন নিয়ম চালু করে। তাতে বেঁধে দেওয়া হয় ডলারের দামের সর্বোচ্চ হার। সেই নিয়মে এক বছর পর ব্যাংক ডলারের দাম বর্তমানের চেয়ে স্মার্ট হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ পর্যন্ত বেশি নিতে পারবে। যে পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে এখন ঋণের সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে, সেটি পরিচিত স্মার্ট বা সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসেবে। প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। জুলাইয়ে স্মার্ট রেট ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। আগস্টে তা বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ, যা চলতি সেপ্টেম্বরেও অপরিবর্তিত রয়েছে।


আমদানিকারকদের কাছে বেশি দামে ডলার বিক্রি ও বেশি দামে প্রবাসী আয় কেনার কারণে বেসরকারি খাতের ১০ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন নিয়মটি চালু করেছে। অথচ এসব ব্যাংকের কয়েকটি ভবিষ্যৎ দাম আদায় করতে গিয়ে আমদানিকারকদের কাছ থেকে বেশি দাম রেখেছিল বলে কয়েকটি ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

ডলার ক্রয় ও বিক্রয়—উভয় ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ দাম নির্ধারণ করা যায়। তাই চাইলে কোনো আমদানিকারক এখনই ডলার কিনে রেখে পরে পণ্য আমদানি করতে পারেন। এ জন্য তাঁকে ডলারের বর্তমান দামের সঙ্গে বাড়তি কমিশন দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে দাম কমে গেলেও আমদানিকারককে বর্তমান দামই দিতে হবে। আবার দাম বেড়ে গেলে তিনি সুবিধা পাবেন; অর্থাৎ বাড়তি দাম দিতে হবে না।

আমদানিকারকের মতো রপ্তানিকারকেরাও ডলারের ফরোয়ার্ড সেল বা অগ্রিম বিক্রি করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে ডলারের দাম বেড়ে গেলে ওই রপ্তানিকারককে লোকসান গুনতে হবে।


বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ডলারের জোগান ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে সময়-সময় ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে। ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম প্রতি মাসেই বাড়ছে।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি মাস থেকে পণ্য বা সেবা খাতের রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়ের ডলার কেনায় দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা। আর আমদানিকারকদের জন্য ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা।