ঢাকা প্রেস
সিরাজুল ইসলাম রতন গাইবান্ধা প্রতিনিধি:-
পলাশবাড়ীতে গ্রাম পুলিশ (মহল্লাদার) পদে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে!
গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে গ্রাম পুলিশ (মহল্লাদার) পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ১২ ডিসেম্বর শুক্রবার পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এই পাঁচটি ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ (মহল্লাদার) পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে কিশোরগাড়ী, মহদীপুর, বেতকাপা, মনোহরপুর ও হরিনাথপুর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ (মহল্লাদার) পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল। জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি করা হলেও, বেশিরভাগ প্রার্থী এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাননি। এমনকি কোনো পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে কি না, সে সম্পর্কেও সঠিক ধারণা নেই সচেতন মহলের।
ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা পরিষদের নোটিশ বোর্ডেও বিজ্ঞপ্তি সাঁটানোর কথা থাকলেও তা করা হয়নি। ফলে কয়েক শ প্রার্থী আবেদন করার সুযোগ পাননি। পাঁচটি পদের বিপরীতে যেখানে কয়েক শ আবেদন পড়ার কথা, সেখানে মাত্র ১৫-২০ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যক্তির বক্তব্য অনুযায়ী, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গোপনে প্রকাশ করা হয়, যার ফলে অনেকেই আবেদন করতে পারেননি। শুধুমাত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিব এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বিষয়ে জানতেন। এমনকি অনেক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরাও জানতেন না যে তাদের ইউনিয়নে মহল্লাদার পদে নিয়োগ হবে।
অভিযোগ রয়েছে যে, ইউপি চেয়ারম্যানরা তাদের পছন্দের ব্যক্তিদের থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে নিয়োগের ব্যবস্থা করেছেন। এমনকি হত্যামামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরাও এই নিয়োগে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এই নিয়োগ কমিটির সভাপতি হওয়ায় দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ তার বিরুদ্ধেই উঠেছে।
এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ইউএনও কামরুল হাসানের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আবেদন করতে না পারা প্রার্থীদের দাবি, অবিলম্বে এই নিয়োগ বাতিল করে পুনরায় স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।