ঢাকা প্রেস: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, "আমরা উন্নয়নের ধারায় অনেক কিছু করে দিচ্ছি। মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ সকল স্থাপনা ব্যবহারে জনগণকে আরও যত্নবান হতে হবে।"
থাইল্যান্ড সফর নিয়ে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
মেট্রোরেল ও অন্যান্য উন্নয়নশীল স্থাপনার যত্ন নেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন:
"মানুষ সচেতন না হলে কীভাবে সম্ভব। রক্ষণাবেক্ষণ করা, যত্ন করা তো জনগণের দায়িত্ব। কতো শেখান হবে আর। নিজেদের এসব স্থাপনা নিয়ে আরও যত্নবান হতে হবে।"
ঢাকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী:
"ঢাকায় সবাইকে থাকতে হবে না, উপশহরে থেকে সকল কাজ করা যাবে এমন পরিকল্পনায় কাজ চলছে।"
এছাড়াও, আন্তর্জাতিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী:
"ফিলিস্তিনে অব্যাহত গণহত্যা, মিয়ানমারে চলমান সংঘাত ও রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলসহ বিশ্ব সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাই।"
প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফর:
থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে ২৯ এপ্রিল ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সফরকালে তিনি থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।
তিনি থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রাণী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সাথেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এছাড়াও, তিনি ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন।