টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:-
টাঙ্গাইলের বাসাইলে শহীদ মিনারের আশপাশে রোববার বেলা ৩টায় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি সমাবেশের কারণে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। কাদেরিয়া বাহিনী কয়েক দিন আগে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের আয়োজন করেছিল। এর বিপরীতে শনিবার রাতেই ছাত্রসমাবেশের নামে একই স্থানে ও একই সময়ে সমাবেশ ডাকা হয়।
অপ্রীতিকর ঘটনার সম্ভাবনা এড়াতে প্রশাসন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, শহীদ মিনার ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ আয়োজনের জন্য যুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙ্গাল ১ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন। ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর।
অন্যদিকে ছাত্রসমাবেশ আয়োজনের অনুমতির জন্য শনিবার ছাত্র নেতা রনি মিয়া লিখিত আবেদন করেন। আয়োজকরা পৃথক দুটি সমাবেশের জন্য পৌর শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করেছেন। রনি মিয়া দাবি করেছেন, “আমাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে হবে। বাধা আসলেও আমরা নির্ধারিত স্থানে সমাবেশ করব।”
কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙ্গাল মন্তব্য করেছেন, “আমরা আগে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি। আমাদের সমাবেশের আগে তারা একই স্থানে সমাবেশ ডেকেছে। তারা আমাদের অনুষ্ঠানের আগে বা পরের দিন আয়োজন করতে পারতেন।”
বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন জানিয়েছেন, ১৪৪ ধারা অনুযায়ী সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ওই স্থানে কোন সভা-সমাবেশ করা যাবে না। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়াতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।