পুষ্টিগুণে ভরপুর রসুন। প্রাচীনকাল থেকে অনেক রোগের চিকিৎসায় ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রসুন সালাদে, রান্নার সঙ্গে মিশিয়ে বা আঁচার করে খেতে পারেন। প্রতি ১০০ গ্রাম রসুনে প্রায় ১৫০ ক্যালোরি, ৩৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৬.৩৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়।
এ ছাড়াও রসুন ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৬, ফোলেট, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম এবং জিঙ্কের একটি বড় উৎস। রসুন আমাদের শরীরের জন্য ব্যাপক উপকারী। আসুন জেনে নেই রসুন খেলে কি কি উপকার মিলবে।
১. রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে
রসুনে থাকা আলিসিন নামক উপাদান রক্তচাপ কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে পারে এবং লিভার এবং মূত্রাশয়ের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে।
২. ডায়রিয়া নিরাময় করতে সাহায্য করে
ডায়রিয়া হলে রসুন খেতে পারেন। এতে ডায়রিয়া নিরাময় হতে পারে। রসুন স্নায়ুতন্ত্রের জন্যও ভালো। এছাড়া রসুন ক্ষুধাকে উদ্দীপিত করতে পারে এবং হজমশক্তি বাড়াতে পারে।
৩. কোলেস্টেরল কমায়
রসুন ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে পারে। উচ্চ কোলেস্টেরল যাদের আছে তাদের অবশ্যই এটি খাওয়া উচিত। উচ্চ কোলেস্টেরল একটি গুরুতর সমস্যা যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
৪. লিভারকে শক্তিশালী করে
লিভারকে শক্তিশালী করতে কাঁচা রসুন খাওয়া উচিত। লিভারকে সুস্থ রাখতে রসুনের উপকারিতা অনেক। এছাড়া রসুন সংক্রামক রোগের সঙ্গে লড়াই করতে পারে।
৫. শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে
রসুনে প্রচুর পরিমাণে সালফার যৌগ থাকার কারণে এটি শরীরের অঙ্গগুলোকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে। রসুন রক্তে সীসার মাত্রা কমিয়ে দিয়ে শরীরের বিষাক্ততা কমায়।
৬. হাড়ক্ষয় রোধ করে
রসুনে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন সি এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদানগুলো থাকে যা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে এবং হাড়ের দৃঢ়তা বাড়ায়।
৭. দাঁতের ব্যথা ও বাতের ব্যথা মোকাবিলা
রসুনের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণাগুণ দাঁতের ব্যথা এবং বাতের ব্যথা মোকাবিলা করতে পারে।