প্রকাশকালঃ
১১ অক্টোবর ২০২৩ ০৩:৩৮ অপরাহ্ণ ২৭৮ বার পঠিত
কারো মৃত্যুর সংবাদ শোনামাত্র ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ পড়বে। ইন্তেকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার হাত-পা সোজা করে দেবে। চোখ-মুখ বন্ধ করে দেবে। খাটিয়ার ওপর শুইয়ে সম্পূর্ণ শরীর চাদর দ্বারা ঢেকে দেবে।
যত দ্রুত সম্ভব কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করবে। (মুসলিম, হাদিস : ৯১৮, তিরমিজি : ১/২০৬, ফাতাওয়া শামি : ২/১৯৩, ৩/১৫১-১৫২)
কেউ মৃত্যুবরণ করলে চওড়া পট্টি দিয়ে তার চোয়াল বেঁধে দেওয়া মুস্তাহাব (অসুস্থ ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য) এবং তার চোখ বন্ধ করে দেবে। (মুসলিম, হাদিস : ১৫২৮)
অর্থ : আল্লাহর নামে শুরু করছি এবং রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নিয়ে আসা দ্বিন অনুযায়ী। হে আল্লাহ! তার বিষয়াদি সহজ করে দিন এবং পরের বিষয়গুলোও তার জন্য সহজ করে দিন। আপনার সঙ্গে সাক্ষাতের সৌভাগ্য তাকে দান করুন। তার কাছে আগন্তুক বস্তুগুলো প্রস্থানকৃত বস্তু থেকে উত্তম করে দিন। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৬৭)
মৃত ব্যক্তির দুই হাত বুকের ওপর রাখবে না, বরং তার দুই পাশেই রাখবে। (সুনানে কুবরা, হাদিস : ৬৮৪৯, মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ৩/২৪১)
গোসল দেওয়ার আগে মৃত ব্যক্তির পাশে উচ্চৈঃস্বরে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা মাকরুহ। (মুসনাদ আবদুর রাজ্জাক : ৩/৩৮৬)
মৃত্যুর খবর প্রচার করা এবং অনতি বিলম্বে কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করা মুস্তাহাব। (বুখারি, হাদিস : ১১৬৮, আবু দাউদ, হাদিস : ২৮৪৭)
মৃত ব্যক্তির নামে সওয়াব পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে কোরআন পড়িয়ে টাকা দেওয়া-নেওয়া নাজায়েজ। আর যেহেতু টাকা বা কোনোরূপ বিনিময় নিয়ে কোরআন তিলাওয়াত করলে স্বয়ং তিলাওয়াতকারীই উক্ত তিলাওয়াতের কোনো সওয়াব পান না। তাহলে তিনি মৃতের রুহে কী পৌঁছাবেন? সুতরাং খতম নিজেদের পড়তে হবে বা এমন লোক দ্বারা পড়াতে হবে, যাদের সঙ্গে আগে থেকে মহব্বত ছিল; যারা বিনিময় ছাড়াই কোরআন পড়ে দেবেন। (ফাতাওয়া শামি : ৫/৩৯, ইমদাদুল ফাতাওয়া : ৩/৩৮৫)