শয়তান যেভাবে মানুষের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করে

প্রকাশকালঃ ২৬ জুলাই ২০২৩ ০২:৪৮ অপরাহ্ণ ১৬৭ বার পঠিত
শয়তান যেভাবে মানুষের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করে

য়তান বিভিন্ন বিষয়ে মানুষের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করে। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘সাহাবাদের একদল মানুষ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল যে আমরা আমাদের অন্তরে কখনো এমন বিষয় অনুভব করি, যা মুখে উচ্চারণ করা আমাদের কাছে খুব কঠিন। 

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, সত্যিই কি তোমরা এমন কিছু পেয়ে থাকো? তারা বলেন, হ্যাঁ, আমরা এ রকম অনুভব করে থাকি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, এটি ঈমানের প্রকাশ্য প্রমাণ।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৩৮)

রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, ‘তোমাদের একজনের কাছে শয়তান এসে বলে, কে এটি সৃষ্টি করেছে? কে ওইটি সৃষ্টি করেছে? একপর্যায়ে সে বলে, কে তোমার প্রতিপালককে সৃষ্টি করেছে? তোমাদের কারো অবস্থা এ রকম হলে সে যেন শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চায় এবং এমন চিন্তাভাবনা করা থেকে বিরত থাকে।’ (বুখারি, হাদিস : ৩২৭৬)


অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘শয়তান আদমসন্তানের রক্তনালিতেও চলাচল করতে পারে। আমার আশঙ্কা হলো, হয়তো শয়তান চলাচল করে তোমাদের মনে খারাপ ধারণা সৃষ্টি করে দেবে।’ (বুখারি, হাদিস : ২০৩৫)

আবার মানুষ যখন সালাতের জন্য অজু করে অথবা সালাত আদায় করতে শুরু করে তখন শয়তান মানুষের মনে এমন সন্দেহ সৃষ্টি করে যেন তার অজু নষ্ট হয়ে গেছে।


এ অবস্থায় শব্দ শোনা বা গন্ধ না পাওয়া পর্যন্ত অজু করতে হবে না। একবার আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর কাছে জনৈক ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হলো যে তার মনে হয়েছিল যেন সালাতের মধ্যে কিছু বের হয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেন, ‘সে যেন ফিরে না যায়, যতক্ষণ না শব্দ শুনে বা দুর্গন্ধ পায়।’ (বুখারি, হাদিস : ১৭৭)

মানুষ এভাবে যতই খারাপ চিন্তা করুক না কেন এ জন্য তাকে পাকড়াও করা হবে না বা কোনো গুনাহ লেখা হবে না, যতক্ষণ না সে এগুলো কাজে পরিণত না করে।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমলে পরিণত করা অথবা এটা মুখে উচ্চারণ না করা পর্যন্ত আল্লাহ আমার উম্মতের মনের ওয়াসওয়াসাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।’ (বুখারি, হাদিস : ২৫২৮)