অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে ঈশ্বরদীতে শ্রমিক দল ও যুবদলের সংঘর্ষ

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১২ এপ্রিল ২০২৫ ০৫:৩৪ অপরাহ্ণ   |   ৮৪ বার পঠিত
অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে ঈশ্বরদীতে শ্রমিক দল ও যুবদলের সংঘর্ষ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:-

 

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে শ্রমিক দল ও যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে দাশুড়িয়া স্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষে দু’দফায় কয়েকজন আহত হন। এ সময় শ্রমিক নেতা রকু প্রামাণিকের কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগও ওঠে।
 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেলে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন প্রামাণিকের ভাই এবং স্থানীয় শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রকু প্রামাণিক কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে দাশুড়িয়া গোলচত্তরে অবস্থিত সিএনজি স্ট্যান্ডে গিয়ে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করেন। কিন্তু স্ট্যান্ডে থাকা লোকজন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ও জায়গা ছাড়তে না চাইলে রকুর সঙ্গে দাশুড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব বিপুল মোল্লার বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।
 

একপর্যায়ে বিপুল মোল্লার পক্ষে আব্দুর রাজ্জাক, আনিছুর ও মান্নানসহ কয়েকজন এগিয়ে এলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে বিপুলসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
 

বিষয়টি নিয়ে বিপুল মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, “চাঁদা না দেওয়ায় প্রথমে আমাকে, পরে অটোরিকশার দুই চালককে মারধর করেন রকু ও তার লোকজন। পরে আমরা হাসপাতালে ভর্তি হই। কারা রকুর অফিস ভাঙচুর করেছে, তা আমি জানি না।”
 

অন্যদিকে, শ্রমিক নেতা রকুর ছোট ভাই রিপন হোসেন দাবি করেন, “স্ট্যান্ডে যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে রকু ভাই ও বিপুল মোল্লার অনুসারীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে আমি বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করি। কিন্তু রাতেই বিপুলের লোকজন আমাদের অফিসে ভাঙচুর চালায়।”
 

এ বিষয়ে রকু প্রামাণিকের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনার পর রাতে বিপুল মোল্লা ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
 

ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম জানান, “উভয় পক্ষই অভিযোগ দিয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেব।”