নেপালে সামাজিকমাধ্যম নিষিদ্ধ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দিউবার কাঠমান্ডুর বোটানিলকণ্ঠের বাসভবনে বিক্ষোভকারীরা হামলা চালান। তারা দিউবা ও তার স্ত্রী, বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরজু রানা দিউবাকে মারধর করেন। এ সময় দিউবার মুখ থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায় এবং বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর হয়। কিছু সময়ের জন্য আরজু রানা দিউবাকেও বিক্ষোভকারীরা আটকে রাখেন। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এ তথ্য জানিয়েছে।
সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বিক্ষুব্ধ জনতা সরাসরি দিউবার বাড়িতে ঢুকে হামলা চালাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ফেসবুক, ইউটিউবসহ মোট ২৬টি সামাজিকমাধ্যমে গত সপ্তাহে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নেপাল সরকার। প্রথমে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হলেও সোমবার ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ১৯ জন নিহত হন। তরুণদের এ হত্যাকাণ্ড সাধারণ মানুষের ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দেয়।
ক্রমে আন্দোলন ভয়াবহ রূপ নিলে সেনাপ্রধান সরাসরি প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলিকে ক্ষমতা ছাড়ার পরামর্শ দেন। পরে তিনি পদত্যাগ করেন। বর্তমানে তিনি দুবাই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে নেপালের একাধিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে।
এর আগে বিক্ষোভকারীরা ওলির ব্যক্তিগত বাসভবনসহ কয়েকজন মন্ত্রী ও রাজনীতিবিদদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালান।