দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস

প্রকাশকালঃ ২২ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ ১৪৯ বার পঠিত
দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস

দিনাজপুরে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকালের চেয়ে আরো ১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমে আজ সোমবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমে দিনাজপুরের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কিছু বেশি কিংবা তার কম থাকছে। আজ সকাল ৯ টায় দিনাজপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সঙ্গে ঠাণ্ডা বাতাস বয়ে যাওয়ার কারণে শীতের প্রকোপ অসহনীয় হয়ে উঠেছে। আরো তিন-চার দিন এই অবস্থা বিরাজ করতে পারে। পুরো জানুয়ারি মাসজুড়েই শীতের তীব্রতা থাকতে পারে।

আকাশ মেঘলা, কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। জনজীবন জবুথবু হয়ে পড়েছে। নেমে এসেছে তীব্র শীতের ভয়।

খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছে বেকায়দায়। দিনাজপুরের সাধারণ মানুষ শীতের কারণে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। আর যারা জীবিকার তাগিদে কাজের সন্ধানে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন তারা পড়েছেন চরম বেকায়দায়।

শীতের কারণে কাজে টিকতে পারছেন না। তারা মাঝে মাঝেই কাজ বন্ধ করে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে কুন্ডলি পাকিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। মাঠে কৃষিকাজ প্রায় হচ্ছেই না। শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষেরা কনকনে শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষার জন্য অনেকেই বাড়ির আঙিনা ও ফুটপাতসহ চায়ের দোকানের চুলায় বসে আগুন পোহাচ্ছেন।

অন্যদিকে দিন দিন শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনাজপুরের হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। শীতের কারণে বেড়েছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার মতো ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তাররা জানান, শীতের কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন।

দিনাজপুর জেলা প্রশাসন শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জেলা প্রশাসক আশরাফুল আলম বলেন, শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে জেলার সকল উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শীতবস্ত্র বিতরণ, শীতকালীন পুষ্টিখাদ্য বিতরণ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির কাজ চলছে।