রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাজুল ইসলাম এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এর আগে সকালে শহরের লাবণী মোড় থেকে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সহায়তায় আব্দুল কাদেরকে আটক করা হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান, নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা দীপঙ্কর দত্ত, এবং জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেনারি অফিসার ডা. বিপ্লব জিৎ মণ্ডল।
সম্প্রতি সাতক্ষীরা জেলা মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অলিউর রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিযোগ তোলেন যে, শহরের কিছু হোটেল-রেস্টুরেন্ট স্থানীয়ভাবে টাটকা মাংস না নিয়ে বাইরে থেকে নিম্নমানের ও বাসি মাংস কিনে পরিবেশন করছে।
এই অভিযোগের পর বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির জেলা নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদ জানালেও মাংস ব্যবসায়ী সমিতি শহরে নিম্নমানের মাংস প্রবেশ ঠেকাতে গোপনে নজরদারি শুরু করে। রবিবার সকালে তারা লাবণী মোড়ে দুর্গন্ধযুক্ত ৩০ কেজি পঁচা মাংসসহ আব্দুল কাদেরকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
আব্দুল কাদের জানান, তিনি দেবহাটার কুলিয়া বাজারে ছাগল জবাই করে সেই মাংস শহরের কয়েকটি হোটেলে বিক্রির উদ্দেশ্যে আনছিলেন। শহরের কামালনগর বউবাজার এলাকায় ‘কবির মিট’ নামে তার একটি মাংসের দোকানও রয়েছে।
মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল কাদের (একই নামের হলেও পৃথক ব্যক্তি) ও সাধারণ সম্পাদক অলিউর রহমান বলেন, “অভিযুক্ত ব্যক্তি আমাদের সমিতিভুক্ত নয়। শহরের বাইরের কোনো মাংস বিক্রির অনুমতি নেই। আমরা কয়েকদিন ধরে পাহারা দিচ্ছিলাম যেন নিম্নমানের মাংস শহরে প্রবেশ না করে।”
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাজুল ইসলাম জানান, প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরীক্ষায় মাংসটি পঁচা ও দুর্গন্ধযুক্ত প্রমাণিত হয়। ফলে খাদ্য নিরাপত্তা আইন ২০১৩-এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী অভিযুক্তকে শাস্তি দেওয়া হয়। অনাদায়ে আরও ২০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
এসময় উদ্ধার করা প্রায় ৩০ কেজি পঁচা মাংস জনসমক্ষে ধ্বংস করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, কোন কোন হোটেলে এই মাংস সরবরাহ করা হতো তা খতিয়ে দেখতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, এবং পুরো বিষয়টি প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে।