দেশে সেমিকন্ডাক্টরে ট্রিলিয়ন ডলারের হাতছানি

প্রকাশকালঃ ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ০৪:৫৫ অপরাহ্ণ ২৩৩৫ বার পঠিত
দেশে সেমিকন্ডাক্টরে ট্রিলিয়ন ডলারের হাতছানি

ডিজিটাল যুগে সব ডিভাইসের প্রাণ সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ। স্মার্টফোন থেকে কম্পিউটার, গাড়ি, ওয়াশিং মেশিনসহ সব ধরনের যন্ত্রই চিপনির্ভর। চিপ উৎপাদনে বৈশ্বিক পর্যায়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও কম্পানি বিনিয়োগ বাড়িয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশেও সেমিকন্ডাক্টর খাতের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বে সেমিকন্ডাক্টরের বাজারের আকার বর্তমানে ৫৫০ বিলিয়ন ডলার। ২০২৯ সালের মধ্যে এটি এক ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই বাজারের একটি বড় অংশ দখল করতে পারলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি আসতে পারে।

বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর খাতের সম্ভাবনা

বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর খাতের সম্ভাবনার কারণগুলো হলো:

  • বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বিশাল বাজার: পোশাক শিল্পের জন্য প্রচুর পরিমাণে সেমিকন্ডাক্টর প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের বিশাল বাজার রয়েছে। তাই এই খাতের চাহিদা পূরণে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের সম্ভাবনা রয়েছে।

  • ইলেকট্রনিকস শিল্পের বিকাশ: বাংলাদেশে ইলেকট্রনিকস শিল্পের বিকাশ ঘটছে। মোবাইল ফোন, টেলিভিশন, কম্পিউটার, গাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিকস পণ্য দেশে উৎপাদিত হচ্ছে। এই খাতের জন্যও প্রচুর পরিমাণে সেমিকন্ডাক্টর প্রয়োজন হয়।

  • দক্ষ জনশক্তির প্রাপ্যতা: বাংলাদেশে দক্ষ জনশক্তির প্রাপ্যতা রয়েছে। সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে উচ্চ প্রযুক্তির দক্ষতা প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশে এই দক্ষতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর খাতের বিকাশের জন্য করণীয়

বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর খাতের বিকাশের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে:

  • সরকারের নীতি সহায়তা: সেমিকন্ডাক্টর খাতের বিকাশের জন্য সরকারের নীতি সহায়তা প্রয়োজন। সরকার সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য বিশেষ কর সুবিধা, ভর্তুকি এবং অন্যান্য প্রণোদনা প্রদান করতে পারে।

  • শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ: সেমিকন্ডাক্টর খাতে উচ্চ প্রযুক্তির দক্ষতা প্রয়োজন। সেজন্য দেশে সেমিকন্ডাক্টর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

  • বিনিয়োগ বৃদ্ধি: সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর খাতের বর্তমান অবস্থা

বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর খাতের বর্তমান অবস্থা নিম্নরূপ:

  • ডিজাইন: বাংলাদেশে উল্কাসেমি, নিউরাল সেমিকন্ডাক্টর, প্রাইম সিলিকন ও টোটোন ইলেকট্রনিকসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের সেমিকন্ডাক্টর শিল্প এগিয়ে নিচ্ছে।

  • উৎপাদন: বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন এখনো শুরু হয়নি। তবে সরকারের উদ্যোগে এই খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর খাতের ভবিষ্যত

বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর খাতের ভবিষ্যত উজ্জ্বল বলে মনে করা হচ্ছে। সরকারের নীতি সহায়তা এবং বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে এই খাত বড় ধরনের অগ্রগতি করতে পারে।

বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর খাতের বিকাশের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি আনা সম্ভব। সরকারের নীতি সহায়তা এবং বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে এই খাতকে এগিয়ে নিতে হবে।