আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
ঢাকা প্রেসঃ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মাঠে রয়েছেন চার প্রার্থী। এর মধ্যে আলোচনায় আছেন তিন প্রার্থী। তবে ভোটের মাঠে কারও একক আধিপত্য নেই। কাজেই এবার ত্রিমুখী লড়াই হবে– এমনটাই বলছেন সাধারণ ভোটাররা।
আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাচন হবে। চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে তিনজনই আওয়ামী লীগের। তাদের একজন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী সরকার (মোটরসাইকেল)। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন করে জয়ী হন। পরে দল থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এবারের নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী রতন পোদ্দারসহ প্রভাবশালী কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা তাঁকে সমর্থন দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। ভোটের মাঠে তাঁর শক্ত অবস্থান রয়েছে বলে জানা গেছে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী সরকার বলেন, পাঁচ বছরে রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আবার নির্বাচিত হলে উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখব।
আরেক প্রার্থী এজাহার আলী (ঘোড়া) শিমুলবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি এ ইউনিয়নের চারবারের চেয়ারম্যান ছিলেন। সংসদ সদস্য ডা. হামিদুল হক খন্দকার, সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান শেখ তাঁকে সমর্থন দিয়েছেন।
এজাহার আলী বলেন, এমপির সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করছি। নির্বাচিত হলে দু’জনে মিলে উন্নয়নমূলক কাজ করব।
চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার দৌড়ে আছেন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস ছালাম সুজা (আনারস)। তিনি জামায়াতের সমর্থক বলে জানা গেছে। পড়ালেখা শেষ করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তরুণ সুজা একজন উদ্যোক্তাও বটে। রয়েছে বেশ কয়েকটি কারখানা। প্রার্থী হয়ে মাঠে নেমেই আলোচনায় চলে এসেছেন এই তরুণ। রয়েছে অসংখ্য সমর্থক।
আব্দুস ছালাম সুজা বলেন, জামায়াত ও সাধারণ জনগণের সমর্থন নিয়ে মাঠে আছি। নির্বাচিত হলে মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার পাশাপাশি অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করব।
চেয়ারম্যান প্রার্থী ভাঙ্গামোড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. লুৎফর রহমান বাবু (কাপ-পিরিচ) যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ভোটের মাঠে তিনি খুব একটা সাড়া জাগাতে পারেননি।
ব্যবসায়ী আবু তালেব ও আলী হোসেন জানান, নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক থাকলে, আর মানুষ ভোট দিতে কেন্দ্রে এলে মোটরসাইকেল, ঘোড়া ও আনারস প্রতীকের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হবে।