ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারালো পাকিস্তান

প্রকাশকালঃ ২৩ আগu ২০২৩ ০৪:৪৭ অপরাহ্ণ ২২৭ বার পঠিত
ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারালো পাকিস্তান

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের দেওয়া ২০২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে হারিস রাউফের বোলিং তোপে মাত্র ৫৯ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। ছোট রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সু্যোগ তো কাজে লাগাতে পারেই নাই, উল্টো ওয়ানডেতে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় ডুবল রশিদ-নবিরা।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটায় টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০১ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জবাবে মাত্র ১৯.২ ওভারে ৫৯ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানরা। ১৪২ রানের বড় জয় পায় পাকিস্তান। ৫ উইকেট নিয়ে আফগান ব্যাটিং লাইন-আপ একাই ধসিয়ে দেন হারিস রউফ। এর আগে ওয়ানডে ক্রিকেটে আফগানদের সর্বনিম্ন রান ছিল ৫৮।

ম্যাচের শুরুতেই পাকিস্তানের টপ অর্ডারকে চাপে ফেলে দেন আফগানিস্তানের পেসার ফজলহক ফারুকি ও স্পিনার মুজিব উর রহমান। দ্বিতীয় ওভারে ৭ রানে ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান। ফখর জামানকে ২ রানে ফারুকি ও অধিনায়ক বাবর আজমকে শূন্যতে আউট করেন মুজিব। শুরুর ধাক্কা সামলে উঠার চেষ্টা করে ৩৩ রানের জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন ওপেনার ইমাম উল হক ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। অষ্টম ওভারে রিজওয়ানকে ব্যক্তিগত ২১ রানে শিকার করেন মুজিব। 


এরপর আঘা সালমানকে ৭ রানে বিদায় দিয়ে পাকিস্তানের চাপ আরও বাড়িয়ে দেন আফগানিস্তানের আরেক স্পিনার রশিদ খান। ৬২ রানে চতুর্থ উইকেট পতনের পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার ইমাম ও ইফতিখার। আফগানিস্তানের বোলারদের দারুণভাবে সামলে জুটিতে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তারা। ৩০ রান করা ইফতিখারকে শিকার করে আফগানিস্তানকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন স্পিনার মোহাম্মদ নবি। ইমাম-ইফতিখারের ৫০ রানের জুটিতে পাকিস্তানের রান তিন অংকে পা রাখে।

দলীয় ১১২ রানে ইফতিখারের বিদায়ের পর শাদাব খানের সঙ্গে ৪০ রান যোগ করেন ইমাম। এই জুটিতেই ওয়ানডেতে ১৭তম হাফসেঞ্চুরির দেখা পান ইমাম। হাফ-সেঞ্চুরির পর নবির দ্বিতীয় শিকার হয়ে ২টি চারে ৯৪ বলে ৬১ তুলে থামেন ইমাম। ইমামের পর ৩ রানের মধ্যে আরও ২ উইকেট হারিয়ে ২শর নীচে গুটিয়ে যাবার মুখে পড়ে পাকিস্তান। কিন্তু নবম উইকেটে ৩৪ রান যোগ করে পাকিস্তানের রান ২শ পার হতে অবদান রাখেন শাদাব ও নাসিম শাহ। শেষ পর্যন্ত ১৭ বল বাকী থাকতে ২০১ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। শাদাব ৩৯ ও নাসিম অপরাজিত ১৮ রান করেন। আফগানিস্তানের মুজিব ৩টি, নবি-রশিদ ২টি করে উইকেট নেন। 


২০২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই পাকিস্তানের পেসারদের তোপে দিশেহারা হয়ে পড়ে আফগানিস্তানের টপ অর্ডার। ৪ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহকে রানের খাতা খুলতেই দেননি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। একইভাবে আফগানিস্তানের অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শাহিদিকেও খালি হাতে প্যাভিলিয়নের টিকিট ধরিয়ে দেন পেসার নাসিম শাহ।

তৃতীয় বোলার হিসেবে অষ্টম ওভারে আক্রমণে এসে আফগানিস্তানের বড় সর্বনাশ করেন রউফ। নিজের করা প্রথম ওভারের প্রথম বলেই ইকরাম আলি খিলকে ৪ রানে শিকার করেন রউফ। চতুর্থ ওভারে রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ১৮ রানে বিদায় দেন তিনি। ৩৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। পরের ওভারে নবিকে ৭ ও রশিদকে খালি হাতে আউট করেন রউফ। রউফের উইকেট শিকারের মাঝে আব্দুল রাহমানকে ২ রানে থামান স্পিনার শাদাব। 

নিজের সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মুজিবকে ৪ রানে বিদায় করে আফগানিস্তানকে ১৯ ওভার ২ বলে ৫৯ রানে গুটিয়ে দেন রউফ। ৬ ওভার ২ বলে ১৮ রানে ৫ উইকেট নেন রউফ। ২৩ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এই প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন তিনি।