নওগাঁয় আবারো সংঘবদ্ধ হামলার শিকার ঢাকা প্রেসের জেলা প্রতিনিধি শহিদুল

প্রকাশকালঃ ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ১২:১৩ অপরাহ্ণ ৫৪৮ বার পঠিত
নওগাঁয় আবারো সংঘবদ্ধ হামলার শিকার ঢাকা প্রেসের জেলা প্রতিনিধি শহিদুল

ঢাকা প্রেস নিউজ

 

নওগাঁয় সংবাদ প্রকাশের জেরে ঢাকা প্রেস ও মাল্টিমিডিয়া নিউজপোর্টাল বার্তা২৪.কম-এর নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম (২৫) আবারো সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। 

 

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সদর উপজেলার চাকলা বাজার এলাকায় নাহিদ হোসেন নামে এক যুবকের নেতৃত্বে প্রকাশ্য ১৫-২০ জন  এ হামলা চালায় । নাহিদ নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর গ্রামের গোলামের ছেলে ও তার সহযোগি পলাশ হরিপুর গ্রামের উকিল মিয়ার ছেলে ও  এবং তার আরো সহযোগীদের  পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।

 

আহত অবস্থায় শহিদুলকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। 

 

আহত সাংবাদিক শহিদুল ঢাকা প্রেস ও বার্তা২৪.কম এর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।

 

এর আগে গত ১৬ অক্টোবর দুপুরে পার্শ্ববর্তী গোবিন্দপুর গ্রামে এক নব মুসলিম পরিবারকে অবরুদ্ধ রাখা সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে গেলে প্রথম দফায় হামলার শিকার হয়েছিলেন তিনি। পরে হামলাকারীদের অপকর্ম তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন। এর জেরেই দ্বিতীয় দফায় তার ওপর আবারো সংঘবদ্ধ হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

 

হামলার শিকার সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১৬ অক্টোবর প্রথম দফা হামলার শিকার হয়ে নাহিদ সহ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দিয়েছিলাম। এরপরই হামলাকারীরা আত্মগোপনে চলে যায়। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিলো আত্মগোপনে থাকা নাহিদ বাহিনীর সদস্যরা। এরই জেরে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে চাকলা বাজারে চারিদিক থেকে আমাকে ঘেরাও করে নাহিদ ও তার সঙ্গে থাকা ক্যাডার বাহিনীর ১৫-২০ সদস্য। এরপরই পকেট থেকে ছুরিসহ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র বের করে আক্রমন চালায় তারা। নাহিদ মূলত অন-লাইনে জুয়ার এজেন্ট দেয় ও অবৈধভাবে ডলার লেনদেন করে যুবসমাজকে  ধ্বংস করছে প্রতিনিয়ত। নাহিদ সহ তার অন্যান্য বাহিনীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। 

 

নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, গত ১৬ অক্টোবর প্রথম দফায় হামলার ঘটনাটি জানা মাত্রই তাৎক্ষণিক থানা পুলিশের একটি টিম পাঠিয়ে সাংবাদিক শহিদুলকে সেখান থেকে উদ্ধার করে আনা হয়েছিলো। এরপর থেকেই ঘটনাটি খতিয়ে দেখছিলো পুলিশ। এরই মধ্যে দ্বিতীয় দফায় আবারো তিনি হামলার শিকার হয়েছেন বলে জেনেছি। এ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।