ঢাকা প্রেস
আবুল কালাম আজাদ ভূঁইয়া, কুমিল্লা প্রতিনিধি:-
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ বলেছেন, বর্তমানে সবচেয়ে বড় সংস্কারের প্রয়োজন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সংসদ নির্বাচন। তিনি বলেন, যদি বর্তমান সরকার একটি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে পারে, তবে এটি ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
এ তথ্য তিনি গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি মতবিনিময়কালে তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন। সভাটি উপস্থাপন করেন সাংবাদিক এমকে আই জাবেদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কামাল উদ্দিন ভুইয়া, আব্দুল আজিজ মোল্লা, নজরুল ইসলাম, সৈয়দ আমজাদ আলী তছু, আহবায়ক কমিটির সদস্য সোহেল আহমেদ বাবু, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ রানা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এডভোকেট নাছির উদ্দীন আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ফারুক আহমেদ বাদশাহ এবং উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক খায়রুল হাসান প্রমুখ।
অর্ধশতাধিক সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন আবুল কালাম আজাদ, হাবিবুর রহমান, বেলাল উদ্দিন আহমেদ, জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, মোশাররফ হোসেন মনির, নাজিম উদ্দিন এবং হাফেজ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনে শত শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা আজ জালিম স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার অত্যাচার থেকে রক্ষা পেয়েছি। যারা এই আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন, তাদের শাহাদাতকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে সক্ষম হবে।
তিনি আরও বলেন, তিনি চান সরকার এমন একটি নির্বাচন আয়োজন করুক, যেখানে প্রার্থী সবাই শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারণা চালাতে পারবেন, মিছিল, সমাবেশ করতে পারবেন, তবে কোন ধরণের সহিংসতা বা জোর করে ভোট দখলের ঘটনা ঘটবে না। একমাত্র সুষ্ঠু নির্বাচনেই শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে এবং তাদের পরিবার এই দেখে অনুভব করবে যে, তাদের প্রানবিনিময়ের মাধ্যমে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১৭ বছর ধরে গণমাধ্যম স্বাধীনতা সংকুচিত হয়ে গেছে। নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে সাংবাদিকরা হামলা ও মামলার শিকার হয়েছেন। দেশে সাংবাদিকদের ওপর ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতে নির্মম অত্যাচারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আগামীতে তার দল ক্ষমতায় এলে মুরাদনগরে সাংবাদিকরা নির্ভয়ে কাজ করতে পারবেন। তবে তিনি সকল সাংবাদিকদেরকে সতর্ক করেন যে, তাদের সংবাদ যেন নিরপরাধ মানুষের ক্ষতি না করে। মিথ্যা বা ভুল সংবাদ জীবনের ক্ষতির চেয়ে অনেক বেশি মারাত্মক হতে পারে। তিনি সাংবাদিকদের কাছে আশা করেন যে, তারা দেশের বিবেক হয়ে বস্তুনিষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করবেন।