আয়কর রিটার্ণ দাখিলের শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি

প্রকাশকালঃ ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ০৩:০৬ অপরাহ্ণ ২০২ বার পঠিত
আয়কর রিটার্ণ দাখিলের শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি

আয়কর রির্টান জমা দেওয়ার শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি। আয়কর রির্টান জমা দানের সময় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাড়ানো হয়েছে ২ মাস ডিসেম্বর ও জানুয়ারি। সময় মত আয়কর রির্টান জমা না করলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে। 

* আয়কর রিটার্ণ দাখিল না করলে কি হয়?
আয়কর নির্দেশিকা অনুসারে ই-টিআইএন (e-TIN) থাকা সত্ত্বেও রিটার্ন দাখিল না করলে যেসব সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো;
১. যেসব ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সেসব সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হবে:
ক) ক্ষেত্রমত, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যাবে না কিংবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে।
খ) বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তিতে অসুবিধা হবে।
২. নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হলে তার উপর;
ক) আয়কর অধ্যাদেশের ১২৪ ধারা অনুযায়ী জরিমানা। সময় মত রিটার্ন দাখিল না করলে জরিমানা করারা বিধান আছে । এ ক্ষেত্রে উপ কর কমিশনার সর্বশেষ কর নির্ধারণে প্রদেয় করের ১০% পর্যন্ত এককালীন জরিমানা করতে পারেন। তবে এককালীন এ জরিমানার পরিমান ১,০০০/- টাকার কম হবে না। এ ছাড়া ও আয়কর রিটার্ন দাখিলের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরবর্তী প্রতিদিনের ব্যর্থতার জন্য ৫০/- টাকা হারেও জরিমানা করারা বিধান রয়েছে।
খ) ৭৩ ধারা অনুযায়ী 50 শতাংশ অতিরিক্ত সরল সুদ এবং
গ) ৭৩এ ধারা অনুযায়ী বিলম্ব সুদ আরোপযোগ্য হবে।
৩. যে ক্ষেত্রে করদাতা রিটার্ন দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন করে, উপ-কর কমিশনারের মাধ্যমে মঞ্জুরকৃত বর্ধিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করবেন, সেক্ষেত্রে করদাতার ওপর জরিমানা আরোপিত হবে না, তবে অতিরিক্ত সরল সুদ ও বিলম্ব সুদ আরোপিত হবে। 
* কাদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক ? 
১. যিনি ১২ ডিজিটের টিআইএন (TIN Certificate) গ্রহণ করেছেন;
২. ক্রেডিট কার্ড প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে;
৩. কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ লাখ টাকার বেশি টাকা ঋণ নিতে গেলে;
৪. পাঁচ লাখের বেশি টাকার পোস্ট অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খোলায়;
৫. পাঁচ লাখের বেশি টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে;
৬. দশ লাখের বেশি টাকার ক্রেডিট ব্যালেন্স সম্পন্ন ব্যাংক হিসাব খোলা ও বহাল রাখতে;
৭. সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়ন করতে গেলে;
৮. আমদানি নিবন্ধন সনদ ও রপ্তানি নিবন্ধন সনদ প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে;
৯. আমদানির উদ্দেশ্যে ঋণপত্র খোলায়;
১০. ড্রাগ লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র, বিএসটিআই লাইসেন্স ও ছাড়পত্র প্রাপ্তি ও নবায়নে;
১১. মোটরযান এর মালিক হলে;
১২. কোন টেন্ডারে অংশগ্রহণ করলে;
১৩. সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার কর্তৃপক্ষের কাছে ভবন নির্মাণের নকশা দাখিলকালে রিটার্ন দাখিলের প্রাপ্তি স্বীকার জমা দিতে হবে।
১৪. যাদের কে সরকার আবশ্যিকভাবে রিটার্ন দাখিল করতে নির্দেশ করেছে;


*কোথায় রির্টান দাখিল করতে হবে? 
প্রত্যেক শ্রেণীর করদাতার রিটার্ন দাখিলের জন্য আয়কর সাকেল নিধারণ করা আছে। সকল বেসামরিক সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী ও পেনশনভূক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীর নাম শুরু হয়েছে তাঁদের কে নির্দিষ্ট অঞ্চলের নির্দিষ্ট সার্কেলে রিটার্ন্ জমা দিতে হবে। পুরানো করদাতারা তাঁদের বর্তমান সার্কেলে রিটার্ন্ জমা দিবেন। নতুন করদাতারা তাঁদের নাম, চাকুরীস্থল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানার ভিত্তিতে নির্ধারিত সার্কেলে ১২ সংখ্যার ই-টিআইএন উল্লেখ করে আয়কর রিটার্ন্ দাখিল করতে পারবেন। করদাতারা প্রয়োজনে কাছাকাছি আয়কর অফিস বা কর পরামর্শ কেন্দ্র থেকে আয়র রিটার্ন্ দাখিল করার সার্কেল সম্পকেৃ জানতে পারবেন। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত