ইয়াঙ্গুন-টেকনাফ সীমান্তে বাণিজ্য সচল রাখার উদ্যোগ

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৬:১৮ অপরাহ্ণ   |   ৮৬ বার পঠিত
ইয়াঙ্গুন-টেকনাফ সীমান্তে বাণিজ্য সচল রাখার উদ্যোগ

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:-

 

ইয়াঙ্গুন থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর পর্যন্ত বাণিজ্য সচল রাখার জন্য চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
 

শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন তিনি।
 

গত ১৬ জানুয়ারি, ইয়াঙ্গুন থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরগামী একটি পণ্যবাহী কার্গো বোট আটক করে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। এরপর থেকে মিয়ানমার জান্তা সরকার সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ করে দেয় এবং গত ২৩ দিন ধরে ইয়াঙ্গুন থেকে টেকনাফে কোনো পণ্যবাহী বোট আসেনি।
 

এ বিষয়ে উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, "আমি টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছি, এটি নৌপরিবহন, সমুদ্রবন্দর অথবা ল্যান্ডপোর্ট হিসেবে রূপান্তরিত হবে, সে বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। এছাড়া, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, ইউনাইটেড ল্যান্ডপোর্টে শ্রমিকদের মজুরি কম দেওয়া এবং অন্যান্য অনিয়মের তদন্ত করা হবে।"
 

ইয়াঙ্গুন-টেকনাফ সীমান্তে বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, "আমার এখানে আসার উদ্দেশ্য হলো, এই সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজে বের করা।"
 

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবদুল্লাহ ইয়ামিন, ইউনাইটেড গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর খন্দকার জায়েদ আহসান, টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নিজামী, ওসি মো. গিয়াস উদ্দিন, টেকনাফ স্থলবন্দরের ইউনাইটেড ল্যান্ডপোর্টের মহাব্যবস্থাপক জসীম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
 

এদিকে, টেকনাফ স্থলবন্দরের ইউনাইটেড ল্যান্ডপোর্টে শ্রমিকদের মজুরি এবং বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী এহতেশামুল হক বাহাদুর, সাদ্দাম হোসেন, মো. হাসেমসহ অনেকে।
 

ব্যবসায়ী মো. হাসেম বলেন, "ইউনাইটেড ল্যান্ডপোর্ট কর্তৃপক্ষ প্রতি টন পণ্য থেকে ৬৯২ টাকা আদায় করলেও শ্রমিকদের মজুরি দেয় মাত্র ১০০ টাকা, বাকি ৬০০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এর ফলে শ্রমিকদের অযৌক্তিকভাবে ৬-৭ হাজার টাকা দিতে হয়, না হলে আমাদের মালামাল খালাস বন্ধ করে দেওয়া হয়।"
 

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, "অন্যান্য বন্দরের ল্যান্ডপোর্টের বিলের সঙ্গে টেকনাফ বন্দরের বিলের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। এটি ব্যবসায়ীদের জন্য খুবই হতাশাজনক। শ্রমিকদের মজুরি এবং অন্যান্য অনিয়মের বিষয়গুলো আমরা উপদেষ্টার কাছে উত্থাপন করেছি এবং আশা করছি এর একটা সমাধান আসবে।"