শুধু শুক্রবারে সভা-সমাবেশ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ 

প্রকাশকালঃ ১৪ জুলাই ২০২৪ ০৩:৩৭ অপরাহ্ণ ৪৫০ বার পঠিত
শুধু শুক্রবারে সভা-সমাবেশ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ 

বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলো কর্তৃক রাস্তা অবরোধ, যানবাহন চলাকালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কোনো প্রকার জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন, ২০২৪ এর ৪ ধারা ও প্রচলিত অন্যান্য আইন অনুসারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনগণের জান মাল ও নিরাপত্তাসহকারে স্বাধীনভাবে রাস্তায় চলাচলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।  
 

রোববার (১৪ জুলাই) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. জাহাংগীর আলম, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানের ঠিকানায় এ নোটিশ পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।

 

নোটিশে শুধু শুক্রবার ছাড়া কোনো সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলোকে রাস্তায় সভা, সমাবেশ, মিটিং, মিছিল, পরিবেশ দূষণ করে উচ্চস্বরে মাইক ও সাউন্ডবক্স ব্যবহার করে শোভাযাত্রার অনুমতি প্রদান করে ঢাকার রাস্তায় তীব্র যানজট সৃষ্টি করে জনদুর্ভোগ তৈরি করা থেকেও সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকার কথাও বলে হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে এই বিষয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদনসহ প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও নোটিশে বলা হয়েছে।

 

আইনি নোটিশে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৭ অনুচ্ছেদে সুস্পষ্টভাবে শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অধিকার প্রদান করা হয়েছে। ৩৭ অনুচ্ছেদ অনুসারে, ʻজনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধা নিষেধ-সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হইবার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে।’ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিক তার স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য সভা সমাবেশ মিটিং মিছিল করতে পারেন। কিন্তু, মিটিং মিছিলের কারণে যেন কোনো দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি না হয় কিংবা অন্য কোনো নাগরিকের স্বাভাবিক জীবন যাপনের ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না হয় সেই জন্যও যথাযথ অনুমতির প্রয়োজন।

 

এ ছাড়া সভা সমাবেশের নিরাপত্তার জন্যও পুলিশের সাহায্য নেয়া উচিত। ‘ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১২৭, ১২৮ ও ১২৯ ধারা এবং পুলিশ আইন ১৮৬১ এর ৩০, ৩১ ও ৩২ ধারাতে এই ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে।’