৯ দফা দাবির ভিত্তিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সচিবালয়ের ভেতরে আয়োজিত কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেন পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর।
মহাসমাবেশের তারিখ ঘোষণা আগামী বুধবার (৪ ডিসেম্বর) মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মো. বাদিউল কবীর। এ সময় তিনি বলেন, "আমাদের দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। দাবি পূরণে কোনো গড়িমসি বরদাশত করা হবে না।"
যুগ্মসচিবের অপসারণ দাবি কর্মসূচিতে বক্তারা অভিযোগ করেন, দাবিগুলো বাস্তবায়নে গড়িমসি ও দুর্ব্যবহার করেছেন এক যুগ্মসচিব। এ কারণে তার অপসারণের দাবি জানান তারা।
৯ দফা দাবি বক্তারা তাদের ৯ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো তুলে ধরেন:
(১) স্বৈরাচারী শাসনামলে আরোপিত চাকরির অন্যায় আদেশ প্রত্যাহার এবং ভূতাপেক্ষ জ্যেষ্ঠতা প্রদানসহ আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করা।
(২) জাতীয় পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা এবং বেতন বৈষম্য দূর করে ২০টি গ্রেডের পরিবর্তে ১০টি গ্রেড নির্ধারণ।
(৩) পূর্ণাঙ্গ পে-কমিশন বাস্তবায়নের আগে সব কর্মচারীর জন্য ৫০% মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান।
(৪) অফিস সহায়কদের বেতন গ্রেড ২০তম থেকে ১৭তম গ্রেডে উন্নীত করা।
(৫) ১০০% পেনশন গ্রাচুইটি পুনর্বহাল এবং টাইম-স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনঃপ্রবর্তন।
(৬) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয় আয়করমুক্ত রাখা।
(৭) সচিবালয় ভাতা চালু করা এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতো রেশনিং প্রথা প্রবর্তন।
সমাবেশের নেতৃত্ব কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর এবং সঞ্চালনা করেন মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য দেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা মো. তোয়াহা, সিনিয়র নেতা মাহে আলম, অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি নুরুজ্জামানসহ আরও অনেকে।
সচিবালয়ের এই মহাসমাবেশ দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের দাবিদাওয়া বাস্তবায়নে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করছেন সংগঠনের নেতারা।