ঢাকা প্রেস নিউজ
রাজধানীর হাজারীবাগ থানা এলাকার হাফেজ আব্দুর রহিম খানের তৃতীয় স্ত্রী হনুফা বেগম তার সতিন (দ্বিতীয় স্ত্রী) সালেহা আক্তার বাবলি কর্তৃক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। স্বামী হাফেজ আব্দুর রহিম খানের মৃত্যুর পর থেকে এই নির্যাতন শুরু হয় বলে তিনি দাবি করেছেন।
আজ, সোমবার, ঢাকার নিম্ন আদালতে অবস্থিত কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির (সিআরইউ) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ তুলে ধরেন এবং ন্যায়বিচার দাবির কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তার আইনজীবী সুফিয়ান নাহার আঁখি।
হনুফা বেগম জানান, ১৯৯৫ সালে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক হাফেজ আব্দুর রহিম খানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়, এবং ২০১০ সালে তাদের বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়। তিনি বলেন, “স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার উপর নির্যাতন শুরু হয়। ২০২৩ সালের ২৪ মে আমেরিকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার স্বামী মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকে আমি অমানবিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। আমি ন্যায়বিচার চাই।”
তিনি আরও বলেন, “বাবলি ও তার ছেলে শাহ নেওয়াজ আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে এবং মিথ্যা মামলায় আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। তারা আমার বাসার বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। আমি এখন বিদ্যুৎহীন অবস্থায় জীবন যাপন করছি।”
হনুফা বেগম তার সতিনের চার সন্তান সম্পর্কে বলেন, “বাবলি ও তার ছেলে শাহ নেওয়াজ আমাকে মেরে পা ভেঙে দেয়। তাদের বিরুদ্ধে আমি মামলা করেছি, কিন্তু তারা আমার স্বামীর সব সম্পদ হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। হাজারীবাগে আমার বাসার বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। আমি অসহায় জীবনযাপন করছি।”
তিনি আরও জানান, “আমার স্বামীর প্রথম স্ত্রীর চার সন্তান আমেরিকায় বসবাস করছেন এবং তারা আমাকে খুবই সহযোগিতা করে। কিন্তু দ্বিতীয় সতিন, তার প্রেমিক নূর করিম ও তার ছেলে শাহ নেওয়াজ আমাকে নির্যাতন করছে। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।”
হনুফা বেগমের আইনজীবী সুফিয়ান নাহার (আখি) বলেন, “য despite তাকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা হচ্ছে। তিনি আমার পরামর্শে বার বার থানায় গিয়েও কোনো সহায়তা পাননি। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আমি আশা করি, এই অসহায় নারী ন্যায়বিচার পাবেন।”