জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের মুক্তির প্রতিবাদে বামপন্থি ছাত্রসংগঠনের বিক্ষোভ

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৭ মে ২০২৫ ০৮:২০ অপরাহ্ণ   |   ৮৮ বার পঠিত
জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের মুক্তির প্রতিবাদে বামপন্থি ছাত্রসংগঠনের বিক্ষোভ

ঢাকা প্রেস-নিউজ ডেস্ক:-

 

জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বামপন্থি ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হওয়া এই মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ মোড় ঘুরে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।
 

বিক্ষোভ শেষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল, ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকার, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ চৌধুরী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক, এবং বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নূজিয়া হাসিন রাশা।
 

সমাবেশে নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘হাসিনা আর আজহার বাংলাদেশে গাদ্দার’, ‘একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠো আরেকবার’, ‘রাজাকারের আস্তানা ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘হেরে গেছে হাসিনা, একাত্তর হারেনি’—এই স্লোগানগুলোই আজকের প্রতিবাদের ভাষা।
 

বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর জাবির আহমেদ জুবেল বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাসে আজ এক কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হলো। আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থার, কিন্তু আজকের রায় সেই স্বপ্নে শেষ পেরেক ঠুকেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের নামে আসামিদের পক্ষে কাজ করা আইনজীবীদের রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি বানানো হয়েছে। যিনি এটিএম আজহারের পক্ষে দীর্ঘদিন মামলা লড়েছেন, তিনিই আজ রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী। এ পরিস্থিতিতে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করা দুরাশা।”
 

তিনি আরও বলেন, “যে ব্যক্তি মানবতাবিরোধী তিনটি অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন, তাকেই এখন বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। অথচ সবাই জানে, আজহার ছিলেন রংপুরের ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি এবং আলবদর বাহিনীর একজন গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডার। আজ তাকে নির্দোষ ফেরেশতা বানিয়ে রায় দেওয়া হয়েছে, অথচ এর পেছনে কী যুক্তি—তা স্পষ্ট নয়।”
 

ছাত্র ইউনিয়নের নেতা শিমুল কুম্ভকার বলেন, “দশ মাস পরে জানতে পারলাম যে একাত্তরের গণহত্যায় দণ্ডিত একজন রাজাকারকে সরকার মুক্ত করে দিয়েছে। এখন বলা হচ্ছে, তিনি নাকি মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষেই ছিলেন! এই ইতিহাস বিকৃতি ও ন্যায়বিচারের প্রতারণার বিরুদ্ধে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”
 

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে। এই দেশে একাত্তরের রাজাকার, নব্বইয়ের দালাল কিংবা ২০২৪-এর ফ্যাসিস্ট শাসকদের কোনো ঠাঁই নেই। দেশের জনগণ ঘাতক ও দালালমুক্ত বাংলাদেশ চায় এবং তার জন্য লড়াই অব্যাহত থাকবে।”