কবি: রেজাউদ্দিন স্টালিন!

ওরা দাঁড়িয়েছে অন্ধকারের আগে,
ওরা দাঁড়িয়েছে মৃত্যুর পুরোভাগে।
সহ্য হয় না সন্ধ্যার নিরবতা,
যত রাত বাড়ে চাঁদের প্রগলভতা।
প্রেম যাকে খায় আত্মা অবধি নামে,
বিরহ ছড়ায় এলোমেলো কেশদামে।
ওরা শুয়ে পড়ে বাতাসের রম্ভায়,
ওরা বসে থাকে মৃত্যুর জিহ্বায়।
কে এসে দাঁড়ায় চৌকাঠ জুড়ে ছায়া,
মেঘ দিয়ে গড়া অবয়ব তার কায়া।
হাতের চাবুক পাথুরে ঘোড়ায় হানে,
লক্ষ লক্ষ রণভেরী বাজে কানে।
কৃত্রিম যত বুদ্ধিমত্তা প্রাণী,
এক পায়ে সব টানছে কলুর ঘানি।
নীল হয়ে গেছে নক্ষত্রের দাবি,
তবুও মূর্ত আকাংখা কূলপ্লাবী।
আর ভয় কিসে পাথরের মৌমাছি,
মধু নিতে যাবে মৃতদের কাছাকাছি।
আকাশ পাতালে অগনিত মৃত পাখি,
ডানা ঝাপটায় করে ঘোর ডাকাডাকি।
স্মৃতিতে খোদাই আদিম তৃষ্ণা যত,
নতমুখ তারা লজ্জায় ব্রীড়ানত।
জখমকে যারা ভুলে যায় প্রতারক,
তারা শুধু খোঁজে অনন্ত পরলোক।
যারা ভুল করে পৃথিবীর যত পাপী,
মৃত্যুর মাঠে করে ক্রুর দাপাদাপি।
দাউদের গানে মত্ত মাছেরা ভাবে,
জীবন কেবল ছুরিতেই চমকাবে।
যেমন যিশুর গাধারা বুঝেছে ঠিক,
দিনে দিনে ক্ষুধা সয়ে যাবে ততোধিক।
জেদী গাধা বলে আমাদের ভাগ কই,
আমরা পড়েছি নিষিদ্ধ লাল বই।
এবং শিখেছি সূর্যের বন্দিশ,
ভাগ করে নিতে প্রাপ্য ধানের শীষ।
আর কিছু নয় বিকর্ণ ভালোবাসা,
কেনা জানে নদী কবিতা কীর্তিনাশা।