*কুমিল্লার দেবীদ্বারে গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রতিপক্ষের হামলায় ১২ জন আহত*

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:১৭ অপরাহ্ণ   |   ৫২ বার পঠিত
*কুমিল্লার দেবীদ্বারে গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রতিপক্ষের হামলায় ১২ জন আহত*

মো: কউছার সরকার,বিশেষ প্রতিনিধি (কুমিল্লা):-

 

কুমিল্লার দেবীদ্বারে ৫২তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ফুটবল ম্যাচ চলাকালে দুই শিক্ষার্থী দলের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে অন্তত ১২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
 

রেয়াজ উদ্দিন সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং সাইচাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মধ্যে খেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দেবীদ্বার পৌর এলাকার রেয়াজ উদ্দিন সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও আশেপাশের এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
 

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোল শূন্য ড্র থাকার পর টাইব্রেকারে রেয়াজ উদ্দিন সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দল এগিয়ে যায়। খেলার শেষ মুহূর্তে বিদ্যালয়ের কয়েকজন উত্তেজিত শিক্ষার্থী মাঠ থেকে বের হয়ে সাইচাপাড়া স্কুলের গোলকিপার তানভিরের ওপর হামলা চালায়। পরে সাইচাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড়রা মাঠের বাইরে গেলে, রেয়াজ উদ্দিন সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্ররা সাইকেলের চেইন, বেল্ট ও হাতুড়ি ব্যবহার করে আক্রমণ চালায়। এতে সাইচাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০–১২ জন খেলোয়াড় আহত হন।
 

আহত খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন আবদুল মান্নান, সাকিব, রাকিব, রিফাত, সাব্বির, সাজ্জাত, মাহিম ও নাইমূর। তাদের দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। পরে নিরাপত্তার কারণে পার্শ্ববর্তী ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
 

সাইচাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফারুক আহমেদ বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর টাইব্রেকারের আগে হামলা হয়েছে। প্রতিবছরই আমাদের মাঠে বা খেলার সময় এমন ঘটনা ঘটছে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
 

রেয়াজ উদ্দিন সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক মো. কামরুজ্জামান মজুমদার জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তিনি মাঠে উপস্থিত ছিলেন না। বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে।
 

দেবীদ্বার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেওয়ান মো. জাহাঙ্গীর বলেন, “ঘটনার পর ক্রীড়া কমিটির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে। হামলার বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জানান, “খবর পাওয়ার পর আমি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছি। আগামীকাল দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের ডেকে বিস্তারিত জানার পর সমাধানমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”