ঢাকা প্রেস নিউজ
কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল ৮টা ১০ মিনিটে বাঁধের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষের মতে, এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
কেন খোলা হলো জলকপাট?
পানি স্তর বৃদ্ধি: টানা বৃষ্টির ফলে হ্রদের পানি ধারণক্ষমতার সীমা অতিক্রম করার উপক্রম হয়েছিল।
বাঁধের ঝুঁকি: অতিরিক্ত পানি বাঁধের জন্য বিপজ্জনক হতে পারত।
রুলকার্ভ অনুসরণ: হ্রদ ব্যবস্থাপনার নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কী হতে পারে?
নিম্নাঞ্চল প্লাবিত: জলকপাট খোলার ফলে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ফসল ও মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত: পানি বৃদ্ধির ফলে কৃষিজমি এবং মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বক্তব্য:
বিদ্যুৎ উৎপাদন: জলকপাট খোলার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে।
নিয়মিত প্রক্রিয়া: পানি বৃদ্ধির সময় এভাবে জলকপাট খোলা হয়।
বিশেষজ্ঞের মতামত:
নতুন চ্যালেঞ্জ: নদী গবেষক ড. শফিকুল ইসলাম মনে করেন, এই পদক্ষেপের ফলে অন্যান্য এলাকায় প্লাবনের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
জেলা প্রশাসকের আশ্বাস:
আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান: জেলা প্রশাসক মো. মোশাররফ হোসেন খান জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
কাপ্তাই বাঁধের জলকপাট খোলা একটি জরুরি পদক্ষেপ হলেও এর ফলে নিম্নাঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকা বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।