লোকসভা নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে এগিয়ে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। তবে গতবারের তুলনায় তারা ৬৮টি আসনে পিছিয়ে আছে। লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনা শুরু হওয়ার তিন ঘণ্টা পর বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ ২৯৭টি আসনে এগিয়ে। বিরোধী ইন্ডিয়া জোট ২২৫টি আসনে এগিয়ে। অন্যরা এগিয়ে ২২টি আসনে। পরপর দুইটি লোকসভা নির্বাচনে শোচনীয় ফল করার পর কংগ্রেস এবার ৯৪টি আসনে এগিয়ে আছে।
বিজেপি এককভাবে ২৪১টি আসনে এগিয়ে। তবে তারা গতবারের তুলনায় ৬২টি আসনে পিছিয়ে আছে। এবারও এক্সিট পোলের পূর্বাভাস মেলেনি। এগিয়ে পিছিয়ে থাকার হিসাবে দেখা যাচ্ছে, চার শ পার দূরস্থান, এনডিএ তিনশর কম আছে। যদি এ রকমই ফলাফল হয়, তাহলে বিজেপি একার ক্ষমতায় সরকার গঠন করতে পারবে না। কারণ, তারা এখনো পর্যন্ত ২৪১টিতে এগিয়ে।
সরকার গঠনের জন্য চাই ২৭২। তবে এই এগিয়ে পিছিয়ে থাকার হিসাব পরে বদলাতেই পারে।
এই প্রাথমিক ফলাফলে উল্লেখযোগ্য প্রবণতা যেটা দেখা যাচ্ছে, তা হলো এনডিএ গতবারে জেতা ৫৫টি আসনে পিছিয়ে আছে। আর বিরোধী ইন্ডিয়া জোট এমন ৮৩টি আসনে এগিয়ে আছে, যা তারা গতবার হেরেছিল। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে বিজেপি মাত্র নয়টি আসনে এগিয়ে, তৃণমূল এগিয়ে ৩১টি আসনে।
কংগ্রেস দুইটি আসনে এগিয়ে আছে। বামেরা কোনো আসনে এগিয়ে নেই। দার্জিলিং, রায়গঞ্জে বিজেপি এগিয়ে। পিছিয়ে আছেন সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষ। কৃষ্ণনগরে এগিয়ে আছেন মহুয়া মৈত্র। ডায়মন্ড হারবারে বিপুল ভোটে এগিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরপ্রদেশে এনডিএ ও ইন্ডিয়ার মধ্যে প্রবল লড়াই হচ্ছে। সেখানে ইন্ডিয়া জোট ৪২টি ও এনডিএ ৩৭টিতে এগিয়ে আছে।
যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের প্রাথমিক এগিয়ে পিছিয়ে থাকার প্রবণতা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটা দেখার। আমেথি থেকে স্মৃতি ইরানি পিছিয়ে আছেন। তবে লখনউ থেকে রাজনাথ সিং এগিয়ে আছেন। বিহারে এনডিএ ৩২ ও ইন্ডিয়া আটটি আসনে, গুজরাটে বিজেপি ২৫ ও ইন্ডিয়া একটি আসনে, মহারাষ্ট্রে এনডিএ ২৫ ও ইউপিএ ১৮ আসনে, রাজস্থানে বিজেপি ১৩ ও ইন্ডিয়া ১০টি আসনে এগিয়ে আছে।
ওড়িশায় বিজেপি ২০ ও বিজেডি একটিমাত্র আসনে এগিয়ে। বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি এগিয়ে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী নবান পট্টনায়েক পিছিয়ে আছেন। অন্ধ্রপ্রদেশেও বিজেপি ও চন্দ্রবাবু নাইডুর জোট বিধানসভায় অনেকটাই এগিয়ে আছে। রাহুল গান্ধী দুইটি আসনেই এগিয়ে, পিছিয়ে আছেন বিজেপি নেত্রী মেনকা গান্ধী।