বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকা থেকে ২৫টি ককটেল উদ্ধার, র‍্যাবের অভিযানে

প্রকাশকালঃ ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৩:৩২ অপরাহ্ণ ২৫৩ বার পঠিত
বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকা থেকে ২৫টি ককটেল উদ্ধার, র‍্যাবের অভিযানে

দেশের সর্ববৃহৎ যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকা থেকে একের পর এক ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় বন্দর এলাকায় বসবাসকারী মানুষের মধ্যে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। শ্রমিকদের দু‘গ্রুপের সংঘর্ষের আশঙ্কায় তারা আতঙ্কিত। প্রধান সড়কসহ আশেপাশের সড়কে মানুষজন চলাচল করতেও ভয় পাচ্ছেন। র‍্যাব ও পুলিশের অভিযানে গত তিন দিনে ৬৬টি ককটেল উদ্ধার করা হয় বন্দর এলাকা থেকে।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে বেনাপোল বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবারো ২৫টি ককটেল উদ্ধার করেছে যশোর র‍্যাব-৬-এর  সদস্যরা। পরিত্যক্ত অবস্থায় এ ককটেল বোমাগুলো উদ্ধার করা হয়। এর আগে ২ সেপ্টেম্বর যশোর র‍্যাবের সদস্যরা বন্দর এলাকার বাদল হোসেনের পরিত্যক্ত একটি বাড়ি থেকে ১৮টি ককটেল বোমা উদ্ধার করে। তার পরদিন ৩ সেপ্টেম্বর বন্দরের আর এক জায়গা থেকে পোর্ট থানার পুলিশ ২৩টি ককটেল উদ্ধার করে।

এর আগের ঘটনায় দু‘দিন আগে বাদল হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে আসল হোতারা রয়েছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। র‍্যাব-৬ যশোরের স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি মো. হাবিবুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি বেনাপোল পোর্ট থানার বন্দর এলাকার বড়আঁচড়া গ্রামের একটি কেমিক্যাল গোডাউনের পাশে পতিত জায়গায় বিপুল পরিমাণ ককটেল বোমা মজুদ রয়েছে। 


এ সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাবের একটি আভিযানিক দল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ওই স্থানে অভিযান পরিচালনা করে দুটি বালতিভর্তি ২৫টি ককটেল বোমা জব্দ করে। তিনি আরো বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধারকৃত বিপুল পরিমাণ ককটেল বোমা যেকোনো বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টির জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একত্রিত করা হয়েছে। ককটেল মজুদকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে র‍্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

উদ্ধারকৃত ককটেলগুলো বেনাপোল পোর্ট থানায় জিডির মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান। বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। ককটেলগুলো পোর্ট থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।

ককটেলগুলো নিস্ক্রিয় করার জন্য পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়েছে। ককটেল বোমাগুলো কারা কী উদ্দেশ্যে ওই স্থানে জমা করে রেখেছে তা তদন্ত করা দেখা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, শান্ত বন্দরকে অশান্ত  করতে একটি পক্ষ ককটেল বন্দর এলাকায় জমা করছে বলে ধারণা  করা হচ্ছে।