প্রকাশকালঃ
২২ আগu ২০২৩ ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ ১৬৮ বার পঠিত
ওজন কমাতে অনেকেই গ্রিন টি-এর ওপর ভরসা রাখেন। কেউ খালি পেটে, আবার কেউ দিনে ছয়-সাত বার গ্রিন টি পান করছেন। কেউ কেউ সকাল শুরু করেন চা দিয়ে, যার মধ্যে দুধ চা ও গ্রিন টি -এর নাম আসে সবার আগে। ওজন কমানো থেকে শুরু করে রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে গ্রিন টি সবচেয়ে উপকারী বলে মনে করা হয়।
আমেরিকান জার্নাল অব মেডিসিনের মতে গ্রিন টি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু গ্রিন টি পান করার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি সতর্কতা মেনে চলা উচিত। সকালে একদম খালি পেটে গ্রিন টি পান করবেন না। এতে বদহজম, অ্যাসিডিটির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রিন টি পান করলে ত্বকের গুণমান, মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় ও ব্যক্তি দীর্ঘ সময় সক্রিয় থাকে। গ্রিন টি-এর যেমন উপকারিতা রয়েছে, তেমনি এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে। মানুষ প্রায়ই ফিট থাকার জন্য সকালে ব্যায়ামের পরে খালি পেটে গ্রিন টি পান করেন, যা খুবই ক্ষতিকর বলে মনে করা হয়।
*খালি পেটে গ্রিন টি খেলে পেট ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বমিভাব হতে পারে। গ্রিন টিতে ট্যানিন রয়েছে, যা পেটে অ্যাসিড বাড়িয়ে তুলতে পারে। ফলে পেট ব্যথা হয়ে থাকে। এছাড়াও পেটে অতিরিক্ত অ্যাসিড হওয়ায় বমিভাবও হতে পারে। এসবের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বাড়ে। *পেপটিক আলসার বা অ্যাসিড রিফ্লাক্সে আক্রান্ত রোগীদের খালি পেটে গ্রিন টি পান করা উচিত নয়। এতে তাদের অবস্থার অবনতি হতে পারে।
*খালি পেটে গ্রিন টি পান করলে তা সরাসরি রক্তকে প্রভাবিত করে। এতে রক্ত জমাট বাধায় কাজ করে যেসব প্রোটিন, সেগুলোর পরিমাণ কমতে থাকে। ফলে রক্ত পাতলা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। *শরীরে আয়রনের পরিমাণও কমিয়ে দেয় গ্রিন টি। এজন্য রক্ত স্বল্পতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের উচিত গ্রিন টি পান না করা। তবে কেউ যদি পান করতে চান, তবে অবশ্যই খালি পেটে নয়।
*হার্ট রেট ও রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় গ্রিন টি। এতে থাকা ক্যাফেইন অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিগুলোকে উদ্দীপিত করে। যা কর্টিসল ও অ্যাড্রেনালিনের মতো স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বাড়ায়।
গ্রিন টি পানের উপযুক্ত সময়
*সকালে গ্রিন টি পান করা ভালো, তবে নাস্তার পর। *শরীরচর্চার আগে পান করতে পারেন। *সুস্থ থাকতে প্রতিদিন এক কাপ হলেও গ্রিন টি জরুরি। *অবশ্যই খালি পেটে পান করা থেকে বিরত থাকুন।