প্রকাশকালঃ
১৫ জুলাই ২০২৪ ০২:১০ অপরাহ্ণ ৪৪৪ বার পঠিত
দেশের আয়কর নীতিমালা ৩৮ (ঘ) অনুসারে, কোনো বাড়ি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, ভাড়া সংগ্রহ, পানি, বিদ্যুৎ, নিরাপত্তাকর্মীর বেতন এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচের জন্য বাড়িওয়ালাদের প্রাপ্ত বাড়িভাড়া থেকে (১০ থেকে ৩০ শতাংশ) বাৎসরিক আয়কর মওকুফ হয়।
এক্ষেত্রে যদি বাড়ি বা সম্পত্তি বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ভাড়া দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে বাড়িওয়ালা বাত্সরিক ৩০ শতাংশ পর্যন্ত আয়কর মওকুফ পান বাড়িভাড়ার ওপরে। যদি বাড়ি বা সম্পত্তি আবাসিক বা বসবাসের ক্ষেত্রে ভাড়া দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে বাড়িওয়ালা বাৎসরিক ২৫ শতাংশ পর্যন্ত আয়কর মওকুফ পেয়ে থাকেন।
যদি বাড়ি বা সম্পত্তি বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বা বসবাসের ক্ষেত্রে ভাড়া না দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে বাড়িওয়ালা বা সম্পত্তির মালিক বাত্সরিক ১০ শতাংশ পর্যন্ত আয়কর মওকুফ পেয়ে থাকেন। অর্থাৎ, বাড়িওয়ালাদের প্রাপ্ত ভাড়া থেকে প্রদেয় বাৎসরিক কর মওকুফ নির্ভর করছে, বাড়ি বা সম্পত্তির ভাড়া দেওয়ার ধরনের ওপরে।
তাই মেইনটেন্যান্স বিল দেখিয়ে বাড়িওয়ালারা যে কিছু টাকা আদায় করেন সেগুলোর বিষয়ে ভাড়াটিয়াদের সতর্ক থাকা দরকার। মূল্যস্ফীতির এই সময়ে বাড়তি ভাড়া দেওয়াটা সমস্যার। কিছু কিছু হিসেব সম্পর্কে সচেতন থাকা দরকার। এই হিসেবগুলো যদি মাথায় থাকে তাহলে সরকারের আয়কর মওকুফ করা সহজ হয়ে যায়।