মুনাফা ৯৬% কমায় চিপ উত্পাদন কমাতে চলেছে স্যামসাং

প্রকাশকালঃ ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ ১৬২ বার পঠিত
মুনাফা ৯৬% কমায় চিপ উত্পাদন কমাতে চলেছে স্যামসাং

লতি বছরের প্রথম প্রান্তিক জানুয়ারি-মার্চে পরিচালন মুনাফায় ধস নামায় স্যামসাং ইলেকট্রনিকস মেমোরি চিপ উত্পাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির পরিচালন মুনাফা ৯৬ শতাংশ কমেছে।

মেমোরি চিপ তৈরির বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বলেছে, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্থরতা ও কোভিড–১৯ মহামারির পরে চিপের চাহিদা কমার কারণে তাদের বিক্রি দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। সে জন্য মেমোরি চিপের উত্পাদন কমানো হচ্ছে। খবর বিবিসির


দক্ষিণ কোরিয়ার বহুজাতিক কোম্পানি স্যামসাং ইলেকট্রনিকস করপোরেশন জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে যে জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে তাদের অপারেটিং প্রফিট বা পরিচালন মুনাফা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬০০ বিলিয়ন বা ৬০ হাজার কোটি কোরীয় উন কমেছে। আগের বছরের একই প্রান্তিকে পরিচালন মুনাফার পরিমাণ ছিল ১৪ ট্রিলিয়ন বা ১৪ লাখ কোটি উন।

এদিকে চিপ উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া সত্ত্বেও স্যামসাং ইলেকট্রনিকস করপোরেশনের শেয়ারের দাম ৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে। কোম্পানিটি বলেছে, ‘আমরা মেমোরি চিপ উত্পাদন কমিয়ে সেটাকে একটি অর্থপূর্ণ পর্যায়ে নামিয়ে আনছি। আমরা চিপের সরবরাহ সুরক্ষিত রাখতে চাই।’


কোভিডজনিত লকডাউন বা নিষেধাজ্ঞা চলার সময়ে মেমোরি চিপের চাহিদা খুব বেড়েছিল। কারণ, গ্রাহকেরা তখন বাড়িতে ব্যবহারের জন্য নতুন ইলেকট্রনিকস পণ্য কিনেছিলেন।

বৈশ্বিক বাজারে গত কয়েক বছর চিপের ঘাটতি দেখা গেছে। সে জন্য চিপ উৎপাদনশিল্পটি এখন ব্যবসায়িক পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তবে সেমিকন্ডাক্টর প্রস্তুতকারক অনেক কোম্পানিই তাদের উৎপাদন ও বাজারের বর্তমান চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য পাওয়ার লড়াই করছে।


ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্সি বা ব্যবস্থাপনা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বেইন অ্যান্ড কোম্পানির বিশ্লেষক পিটার হ্যানবারি বলেন, ‘যখন সামগ্রিক অর্থনীতির গতি মন্থর হয়ে পড়ে, তখন হঠাৎ পণ্যের চাহিদাও কমে যায়। সে জন্য এই বিশেষ ধরনের পণ্যের প্রস্তুতকারকেরা উৎপাদন কমিয়ে দেয় এবং নিজেদের কাছে আগে থেকে থাকা পণ্য বিক্রিতে মনোনিবেশ করে।’

বিশ্লেষকেরা স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের মেমোরি চিপ উৎপাদন কমানোর ঘোষণাকে একটি বিরল ঘটনা হিসেবে দেখছেন। কারণ, কোম্পানিটি গত মাসেই ঘোষণা দিয়েছিল যে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের জন্য তারা দক্ষিণ কোরিয়ায় বড় ধরনের কারখানা স্থাপন করতে চলেছে। এ জন্য আগামী ২০ বছরে তারা ৩০০ ট্রিলিয়ন বা ৩০০ লাখ কোটি উন (কোরীয় মুদ্রা) বিনিয়োগ করবে। প্রতি মার্কিন ডলারে ১ হাজার ৩১৭ কোরীয় উন।