রাজশাহীতে ১১ এনজিওর ঋণের চাপে কৃষকের আত্মহত্যা

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৮ আগu ২০২৫ ০৪:২০ অপরাহ্ণ   |   ৩৮ বার পঠিত
রাজশাহীতে ১১ এনজিওর ঋণের চাপে কৃষকের আত্মহত্যা

রাজশাহী প্রতিনিধি:-


 

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার খাড়ইল গ্রামে ঋণের ভার সইতে না পেরে আকবর হোসেন (৫০) নামে এক কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার সকালে নিজ পান বরজে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি প্রাণ দেন।
 

আকবর হোসেন স্থানীয় লোকমান হোসেনের ছেলে। পরিবার জানায়, তিনি অন্তত ১১টি এনজিও এবং স্থানীয় মহাজনদের কাছ থেকে প্রায় ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু পান চাষে লোকসান হওয়ায় কিস্তি পরিশোধ করতে না পেরে তিনি হতাশায় ভুগছিলেন।
 

নিহতের ছেলে সুজন শাহ জানান, তার বাবা এনজিও থেকে চার লাখ টাকার বেশি ঋণ নিয়েছিলেন। এক বিঘা জমির পান বরজই ছিল সংসারের প্রধান ভরসা। প্রতি সপ্তাহে ৫ হাজার টাকা কিস্তি শোধ করতে হতো। কিন্তু এ বছর পানের দাম না থাকায় ঋণ শোধ অসম্ভব হয়ে ওঠে। প্রতিদিন এনজিও কর্মীদের চাপের মুখে পড়তে হচ্ছিল তার বাবাকে। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেন তিনি।
 

আত্মহত্যার ঘটনায় আকবর হোসেনের বাড়িতে স্থানীয় লোকজনের ভিড়

 

তিনি আরও জানান, আকবর হোসেনের ঋণ ছিল ব্র্যাক, আশা, প্রশিকা, ভার্ক, ডিএফইডি, শাপলা গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা, রিক, ইএসডিও, গ্রামীণ প্রচেষ্টা, পিএমকে ও গাকসহ বিভিন্ন এনজিওতে।
 

মোহনপুর থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, আকবর হোসেন পানের বরজে লোকসানের কারণে ঋণ শোধ করতে পারেননি। হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তবে পরিবারের সদস্যরা ময়নাতদন্ত বা মামলা করতে আগ্রহী নন।
 

নিহতের দুই ছেলে—সুজন শাহ (৩০) ও সুমন শাহ (১৮)—আছে।
 

প্রসঙ্গত, এর মাত্র কয়েক দিন আগে একই এলাকায় ঋণের চাপে খাবারের অভাব সহ্য করতে না পেরে মিনারুল নামে আরেক ব্যক্তি স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছিলেন।