প্রধান উপদেষ্টা চার উপদেষ্টাকে নিয়ে ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করেছেন

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০২:৪১ অপরাহ্ণ   |   ৮২ বার পঠিত
প্রধান উপদেষ্টা চার উপদেষ্টাকে নিয়ে ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করেছেন

ঢাকা প্রেস নিউজ

 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গোপন বন্দীশালা হিসেবে পরিচিত ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করেছেন। তিনি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেল এবং র‌্যাব-২ এর সিপিসি-৩ এর ভেতরের সেলগুলো পরিদর্শন করেন। পরে র‌্যাব সদর দপ্তরের টাস্কফোর্স ইন্টেলিজেন্স সেন্টারও পরিদর্শন করেন।
 

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্য এবং কিছু সাংবাদিকও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, এই গোপন বন্দীশালাগুলো আগারগাঁও, কচুক্ষেত এবং উত্তরা এলাকায় অবস্থিত। পরিদর্শনের সময় অধ্যাপক ইউনূস বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখেন।
 

এর আগে, ১৯ জানুয়ারি গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন (দ্য কমিশন অব এনকোয়ারি অন এনফোর্সড ডিসাপিয়ারেন্স) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টাকে গুমের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন এবং ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনের অনুরোধ করেন।
 

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে এ তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের এ কমিশন গঠন করা হয়। ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সব গুমের ঘটনা তদন্ত করা হবে এবং ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে কমিশনকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
 

এই কমিশন গঠনের ফলে ক্রসফায়ার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে গ্রেপ্তার হওয়ার পর নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। বিশেষ করে, ‘আয়নাঘর’-এ দীর্ঘদিন আটকে রাখার ঘটনা গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।
 

বিএনপির দাবি, চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ১ হাজার ২৪ জনকে গুম করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭৮১ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ জানায়, ২০০৯ থেকে ২০২৩ জুন পর্যন্ত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ২ হাজার ৬৯৯ জন, এবং গুম হয়েছেন অন্তত ৬৭৭ জন। গুমের শিকার অনেকের সন্ধান পাওয়া গেছে, তবে বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী, তাঁর গাড়িচালক, সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম হীরু ও জামায়াত-শিবিরের নেতাদের মধ্যে কয়েকজন এখনও নিখোঁজ। ‘মায়ের ডাক’ সংগঠন তাদের ফিরে পাওয়ার দাবিতে নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।