রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র: নতুন অধ্যায়ের সূচনা

প্রকাশকালঃ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:০১ অপরাহ্ণ ৯০১ বার পঠিত
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র: নতুন অধ্যায়ের সূচনা

ঢাকা প্রেস নিউজ


পাবনার রূপপুরে নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে গুরুত্বপূর্ণ এক অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে এই ইউনিটের চুল্লিপাত্রে ‘ডামি’ জ্বালানি লোডিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রমটি আগামী দুই সপ্তাহ ধরে চলবে।

 

ডামি ফুয়েল হলো আসল পারমাণবিক জ্বালানির সম্পূর্ণ অনুকরণ। আকার, আকৃতি ও ওজনের দিক থেকে এটি আসল জ্বালানির মতোই, তবে এতে কোনো পারমাণবিক বিক্রিয়া ঘটানোর ক্ষমতা নেই। এই ডামি ফুয়েল ব্যবহার করে চুল্লিপাত্রের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও সিস্টেমগুলো যথাযথভাবে কাজ করছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়। একবার এই পরীক্ষা সফল হলেই আসল পারমাণবিক জ্বালানি লোড করে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যাবে।

 

বিদ্যুৎ উৎপাদন: এই বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি কমবে এবং শিল্প-কারখানা ও গৃহস্থালিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

অর্থনৈতিক উন্নয়ন: পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন দেশের অর্থনীতিতে নতুন এক মাত্রা যোগ করবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি নতুন উৎস হিসেবে কাজ করবে।

প্রযুক্তিগত অগ্রগতি: এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ পারমাণবিক প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন করবে এবং ভবিষ্যতে আরো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে সক্ষম হবে।

 

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় একক প্রকল্প হিসেবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২২ হাজার কোটি টাকা এবং বাকি টাকা রাশিয়া থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া হয়েছে।

 

প্রাথমিকভাবে ২০২৫ সালের মধ্যে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর লক্ষ্য ছিল। তবে বিভিন্ন কারণে প্রকল্পটি কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। বর্তমানে ২০২৭ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর লক্ষ্য রাখা হয়েছে।

 

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এই প্রকল্প সফল হলে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।