কুড়িগ্রামে করলার বাম্পার ফলনঃ দামে খুশি কৃষক

প্রকাশকালঃ ২৫ মে ২০২৪ ০৫:৫০ অপরাহ্ণ ৬০৮ বার পঠিত
কুড়িগ্রামে করলার বাম্পার ফলনঃ দামে খুশি কৃষক

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-

ঢাকা প্রেসঃ
শনিবার, ২৫ মে ২০২৪ ইং, কুড়িগ্রামের উলিপুরে করলা চাষে দ্বিগুণ লাভ পেয়েছেন কৃষকরা। বাম্পার ফলনে খুশি তারা। কম খরচে দ্বিগুণ লাভে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে করলার চাষাবাদ। করলা চাষ করে বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। তারা সারা দিন করলা ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

 



উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় সবজি চাষের লক্ষ্য মাত্রা প্রায় ৫২০ হেক্টর। এ পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ১২০ হেক্টর। এর মধ্যে করলার চাষ রয়েছে। জুনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে জানান। এ ছাড়া করলা চাষিদের উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া অব্যাহত রয়েছে।

সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, কৃষকরা ক্ষেত পরিচর্যায় ও করলা উঠাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ক্ষেত থেকে করলা উঠিয়ে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে দেখা যায়। বাজার দর ভালো থাকায় তাদের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা যায়।

তারা বলেন, করলা চাষে অল্প সময়ে অল্প খরচে দ্বিগুণ লাভ পাওয়া যায়। করলার চাহিদা বাজারে থাকায় বাজার দর বেশি বলে জানান তারা। তবে সার কীটনাশকসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় করলা চাষে ব্যয় বেশি হচ্ছে বলে জানান তারা।

 



তারা আরও বলেন, এবারের বৈরী আবহাওয়ার কারণে কিছু কিছু করলার ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। তারপরেও যেসব করলার ক্ষেত রয়েছে তাতে বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা। উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দলদলিয়া টাপুরকুটি এলাকার মতিয়ার রহমান জানান, এবারে তিনি ১০ শতক জমিতে করলার চাষ করেছেন। করলা বাজার জাত করা পর্যন্ত খরচ করেছেন প্রায় ৪ হাজার টাকা। আরও খরচ হবে প্রায় ২ হাজার টাকা। মোট খরচ হবে ৬ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত করলা বাজারে বিক্রি করেছেন ১০ মণ। প্রতি মণ ১২০০ টাকা দরে বাজারে বিক্রি করে আয় হয়েছে ১২ হাজার টাকা। যেভাবে করলা ধরেছে তাতে আরও ২০ মণ করলা হবে। যার বাজার মূল্য হবে প্রায় ২০ হাজার টাকা। মোট আয়ের আশা করছেন ৩২ হাজার টাকা। যা দ্বিগুণেরও বেশি লাভ।

এ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার করলা চাষিদের মধ্যে মোকলেছুর রহমান, শহিদুর মিয়া, আজাহার আলী, জাহেরুল ইসলাম ও মজিত মিয়াসহ আরও অনেকে বলেন, এবারে করলার বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে তীব্র তাপদাহের কারণে অনেক করলার ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। তা ছাড়া অল্প খরচে অল্প সময়ে দ্বিগুণ লাভ করা যায় করলা চাষে। যে কারণে দিন দিন করলা চাষের প্রতি ঝুঁকছেন এলাকার কৃষকরা।

 



উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম জানান, এবারে তীব্র তাপদাহের কারণে সবজি চাষে অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছে। যেসব করলার ক্ষেত রয়েছে তাদের সার্বক্ষণিক বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মোশারফ হোসেন জানান, করলা চাষ একটি লাভজনক ফসল। এবারে তীব্র তাপদাহের কারণে কিছু কিছু করলার ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। এ ছাড়া যেগুলো করলার ক্ষেত রয়েছে সেগুলোতে বাম্পার ফলন হয়েছে। সেসব কৃষকদের উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া অব্যাহত রয়েছে। করলার বাজারদর ভালো থাকায় কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন বলে জানান তিনি।