নানা সম্যসা জর্জরিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সেবা বঞ্চিত সাধারন  জনগন

প্রকাশকালঃ ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৫:০৯ অপরাহ্ণ ০ বার পঠিত
নানা সম্যসা জর্জরিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সেবা বঞ্চিত সাধারন  জনগন

ঢাকা প্রেস
মোঃ শফিকুল  ইসলাম (চারঘাট, রাজশাহী):-


নানা সম্যসা জর্জরিত ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা ৫০ সয্যা বিশিষ্ট এই চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ৩ লক্ষ জন বসতির চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা স্থল এই হাসপাতাল। তবে হাসপাতলটিতে রয়েছে চিকিৎসক সংকট। রয়েছে বিভিন্ন পদের কর্মচারী ও টেকনিশিয়ান সংকট এতে চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার সাধারন জনগন বিশেষ করে দরিদ্র প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। চিকিৎসা সেবার মান নিশ্চিতে মনিটরিং জোরদার ও সমস্যা গুলো চিহ্নিত করে সমাধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবি জানান চারঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাচ্চু।  

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালে অনুমোদিত চিকিৎকের পদ ৩১টি। তবে খালি রয়েছে ২৪টি পদ। ক্লিনার ৫ জনের স্থলে রয়েছে ১জন এবং আয়া ২টি পদ খালি রয়েছে। প্রায় এক বছর ধরে কার্ডিওলোজি, অর্থপেডিক্স, সার্জারি, ইএনটি, অপথোমেলোজি ও সার্জারি বিভাগে চিকিৎসক নেই। টেকনেশিয়ান ও অপারেটরের অভাবে পড়ে আছে এক্মরে ইসিজি ও সনোরোজিষ্ট মেশিন। বদলী, প্রশাসনিক কাজ, ডেপুটেশন ও উচ্চোতর শিক্ষা ছুটিতে থাকায় হাসপাতালে রোগীদের অন্যান্য সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মরত ডাক্তার, নার্সদের।

চিকিৎসা সেবায় এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চিকিৎসা নিতে আসার রোগীদের রয়েছে বিরাট অভিযোগ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা পদে পদে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। চিকিৎসক সংকটে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করার পরও রোগীরা কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হাসপাতালের বর্হি:বিভাগে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫শ রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। মাত্র ৬ জন মেডিকেল অফিসার দিয়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেডিকেল অফিসার ডা: দিপ্ত কমার দাস। চিকিৎসক সংকটে আমাদেরকে অতিরিক্ত চাপ নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে বলে তিনি জানান। 

সহকারী ডেন্টাল সার্জন ডা: গিয়াস উদ্দীন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, প্রায় ৫ বছর যাবৎ এ হাসপাতালে কর্মরত রয়েছে। অভিযোগ করে তিনি বলেন এ হাসপাতালে নামে মাত্র ডেন্টাল ইউনিট রয়েছে। ডেন্টাল চিকিৎসার জন্য নুন্যতম প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম নাই। একাধিক বার উর্ধ্বোতন কর্মকর্তার নিকট চিকিৎসার সরঞ্জামদীর চাহিদা দিলেও না পেয়ে তিনি হতাশ বলে জানান। তাই রোগীদের শুধুমাত্র পরামর্শ প্রদান করেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ডাক্তার সংকটে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থানীয় ক্লিনিক গুলোতে গিয়ে অতিরিক্ত ফি’র বিনিময়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়। সরেজমিনে গিয়ে শনিবার ১২ টায় হাসপাতালে আউটডোরে কোন চিকিৎসক কে চিকিৎসা সেবা দিতে দেখা যায় নাই। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা মিয়াপুর গ্রামের মায়েন উদ্দীন জানান, এ হাসপাতাল টিতে চিকিৎসা সেবার মান নাই বললেই চলে। এছাড়া দিনে কয়েকজন চিকিৎসকের দেখা মিললেও রাতে চিকিৎসকের দেখা মেলা ভার।

হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা: শাওন কুমার দাস বলেন হাসপাতালে কনসালটেন্টসহ চিকিৎসক সংকটে রয়েছে। এতে কিছুটা সমস্যা তো হচ্ছে। শতভাগ ইচ্ছে থাকলেও অতিরিক্ত চাপ ও দ্বায়িত্ব নিয়ে চিকিৎসাসেবা দেয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বিভিন্ন পদের ডাক্তার, টেকনিশিয়ান ও অপারেটরদের চাহিদা উর্দ্ধতন কর্মকর্তারে দেয়া হয়েছে, অতি শীঘ্রই চিকিৎসক সংকটের সমস্যা সমাধান করা হবে বলে জানান চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প:প: কর্মকর্তা ডা: তৌফিক রেজা।