ঢাকা প্রেস
মঈনুদ্দীন শাহীন ষ্টাফ রিপোর্টার কক্সবাজার:-
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ ও আরেক পৃথক ঘটনায় এক রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) উখিয়ার কুতুপালং ২ নং ক্যাম্প ও ময়নারঘোনা ১৫ নং ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। এতে একজন স্থানীয় এনজিও কর্মী ও গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নিহত কিশোর মোহাম্মদ এমরান (১৯) কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের জি-৮১ ব্লকের রোহিঙ্গা মোহাম্মদ ইদ্রিসের ছেলে। পূর্বশত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা তাকে গলা টিপে হত্যা করে বলে জানা গেছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ হোছাইন জানান, বিকেলে আশ্রয়শিবিরের পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে মোহাম্মদ এমরানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে একই দিন সকাল ৯টা ও দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্প-১৫ আশ্রয়শিবিরে আধিপত্য বিস্তারের জেরে মিয়ানমারের দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠী "আরসার" সঙ্গে আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) গোলাগুলির ঘটনা ঘটে । এ সময় স্থানীয় একজন এনজিও কর্মীসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন।
গুলিবিদ্ধরা হলেন উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী এলাকার ওমর হাকিমের ছেলে আমান। আমান ক্যাম্প-১৫ এর আশ্রয়শিবিরের একটি লার্নিং সেন্টারের শিক্ষক ছিলেন। অন্যরা হলেন বেলাল উদ্দিন (৩৫), ব্লক ডি–৭–এর হোসেনের ছেলে ওমর ফারুক (৩০), ব্লক ৩–এর আবদুর রশিদের ছেলে মো. ইউনুস (২৫), বালুখালী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১১) ব্লক ২–এর মো. আলমের ছেলে আবদুল্লাহ (১৮) ও ১৪ নম্বর ক্যাম্পের আবদুল গনির মেয়ে হামিদা বেগম (৫০)।
গুলিবিদ্ধ পাঁচজনকে উদ্ধার করে আশ্রয়শিবিরের এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে গুলিবিদ্ধ সবাইকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ব্যপারে উখিয়া থানার ওসি মো. আরিফ হোছাইন বলেন, সন্ত্রাসীদের ধরতে আশ্রয়শিবিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলছে।