মাহিদুল ইসলাম ফরহাদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:-
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নিউ মার্কেট এলাকায় থাকা দোকানঘর ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার উচ্ছেদ অভিযানে মার্কেট এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনা ও দোকানপাট অপসারণ করা হয়।
এসময় মাছবাজারের আওতাধীন মেসার্স শ্রাবন ফিস ট্রেডার্সের একটি দোকানঘর উচ্চ আদালতের নির্দেশনা না মেনে ভেঙে ফেলার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন আদালতে রিটকারী গোলাম রসুল সাবের। এসময় তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের দিকে এই নিউ মার্কেট মাছবাজার গড়ে তোলা হয়। এরপর দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে মাছবাজারের আওতাধীন প্রায় ৭০টির অধিক দোকান। এসব দোকানপাট নিয়ে আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করলে আদালত তা দফায় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, বুধবার (২২ অক্টোবর) ম্যাজিস্ট্রেট আসলে তাকে উচ্চ আদালতের সকল কাগজপত্র দেখায় এবং স্থগিতাদেশের বিষয়ে অবগত করি। কিন্তু তিনি তা না শুনে আদালতের নির্দেশনার কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলেন। বারবার অনুরোধ করেও শুনেননি। সবকিছু ভেঙে তছনছ করে দিয়ে গেল। প্রশাসন ও সরকারের নিকট আকুল আবেদন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার। আমরা এখন পথে বসেছি। নিউ মার্কেট এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানে মেসার্স শ্রাবন ফিস ট্রেডার্স ছাড়াও অন্তত ২০০টির অধিক দোকানপাট অপসারণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মেসার্স শ্রাবন ফিস ট্রেডার্সের অন্যতম স্বত্বাধিকারী মো. তুফান জানান, কোনকিছু না শুনে না দেখে এসেই ভাংচুর চালিয়েছে দোকানঘরে। এর আগে বহুবার উচ্ছেদ অভিযান হলেও আমাদের দোকান নিয়ে কখনও কোন ভাংচুর বা নোটিশ দেয়া হয়নি। দোকানঘর ভাংচুরের পাশাপাশি বিভিন্ন সড়ঞ্জামও নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এনিয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ করেননি জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম রব্বানী সরদার। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান জানান, উচ্ছেদ অভিযানটি ছিল পৌরসভার। তাদের জায়গা দখল করে যেসব অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট ছিল তা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে তাদের দেখানো দোকানপাট ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলে তাদেরকে পৌরসভার সাথে যোগাযোগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার শহর পরিকল্পনাবিদ মো. ইমরান হোসাইন বলেন, উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় সময় একজন দোকানমালিক আদালতের আদেশ রয়েছে দাবি করে এর সপক্ষে একটি নথিপত্রের ফটোকপি দিচ্ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে। তিনি মূলকপি নিয়ে আসতে বলেছিলেন, তারা তা করেননি। এমনকি আগেরদিন পৌরসভার জায়গা দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনায় সরিয়ে নেয়ার জন্য বলা হলেও তা তারা করেননি।